বছর ঘুরলে পঞ্চায়েত ভোট। তাই তার আগে ঘর গোছানো শুরু করে দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মুকুল রায়ের বিদায় যে কিছুটা হলেও তৃণমূলনেত্রীকে সতর্ক করেছে তা এদিন তাঁর নজরুল মঞ্চে দলীয় নেতা কর্মীদের উদ্দেশ্যে ছুঁড়ে দেওয়া বার্তা থেকেই পরিস্কার।
পঞ্চায়েত নির্বাচনে দলকে জোটবদ্ধ রাখার কথাই বিভিন্নভাবে উঠে এসেছে মুখ্যমন্ত্রীর গলায়। তিনি সাফ জানান, দলের কর্মীরাই তাঁর সম্পদ। নেতারা নন। সকলকে নিয়ে চলতে হবে। যাঁরা দলের কাজ থেকে নিজেদের দূরে সরিয়ে নিয়েছেন তাঁদের চিহ্নিত করে ফের সক্রিয় করে তুলতে হবে। কেউ টিকিট পেলে যাতে অন্যজন ক্ষুণ্ণ না হন তাও নজর রেখে টিকিটের দাবিদারদের ঠিকঠাক টিকিট বণ্টনের ওপরও জোর দেন মুখ্যমন্ত্রী।
মুকুল রায় চিরদিন দলের সংগঠন সামলে এসেছেন। ফলে মুখ্যমন্ত্রীর সেই চিন্তা এতদিন ছিল না। কিন্তু এখন মুকুলহীন তৃণমূলে ঘর সামলে রাখা একটা বড় চ্যালেঞ্জ। যেখানে রাজ্যের বিভিন্ন কোণায় বারবার মাথা চাড়া দিচ্ছে দলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব। যতই তৃণমূল নেতারা অস্বীকার করুন দলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের কথা, বা থাকলেও সামান্য। বাস্তব কিন্তু অন্য কথাই বলছে। এই অবস্থায় পঞ্চায়েতের মত তৃণমূল স্তরের নির্বাচনে একটা এলাকার গোষ্ঠীদ্বন্দ্বও হার জিতে বড় ভূমিকা নিয়ে নেবে। আর সেকথা তৃণমূলনেত্রী ভালই জানেন। তাই দ্রুত তৃণমূলকে সবদিক থেকে সংঘবদ্ধ করাই এখন তাঁর পাখির চোখ হয়ে দাঁড়িয়েছে।