রাজ্যের যেসব এলাকা ডেঙ্গি প্রভাবিত সেসব এলাকার পুরসভাকে সচেতন করা হয়েছে। ডেঙ্গি মোকাবিলায় অর্থ সহ অন্যান্য প্রয়োজনীয় সাহায্য পাঠানো হয়েছে। তারপরও যদি তিনি দেখেন যে সেখানে পুরসভার তরফে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ হয়নি, তাহলে দরকারে তিনি সেই পুরসভা ভেঙে দিতে পারেন। এদিন নবান্নে সাংবাদিক বৈঠক করে এই ভাষায় পুরসভাগুলিকে হুঁশিয়ারি দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
মুখ্যমন্ত্রীর দাবি, ডেঙ্গি নিয়ে ভুল প্রচার করে মানুষকে আতঙ্কিত করা হচ্ছে। রাজ্যে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে। উদ্বেগের কোনও কারণ নেই। কয়েকটি রাজনৈতিক দল ভুল প্রচার করে বিভ্রান্তি ছাড়াচ্ছে। নোংরা রাজনীতি করছে। এদিন নবান্নে সাংবাদিক বৈঠক করে এমনই দাবি করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
ক্ষুব্ধ মুখ্যমন্ত্রী এদিন বলেন, ডেঙ্গি নিয়ে কিছু ডায়াগনস্টিক সেন্টার ও হাসপাতাল-নার্সিং হোম ব্যবসা করতে নেমে পড়েছে। কারা এসব করছে তার দিকে নজর রাখা হচ্ছে। ডেঙ্গি নিয়ে ব্যবসা না করে তা মানবিকভাবে নেওয়ার পরামর্শ দেন তিনি।
এদিনও অন্যান্য রাজ্যের তুলনায় পশ্চিমবঙ্গে ডেঙ্গিতে মৃত্যু কতটা কম তা তুলে ধরতে তুলনামূলক খতিয়ান দেন মুখ্যমন্ত্রী। মুখ্যমন্ত্রীর দাবি, সরকারি হাসপাতালে এখনও পর্যন্ত ডেঙ্গিতে মৃত্যুর সংখ্যা ১৩টি। বেসরকারি নার্সিং হোম বা হাসপাতালে মৃত্যুর সংখ্যা ২৭, তাও তাদের রিপোর্ট এখনও পুরো দেখা হয়নি। এর বাইরে যেভাবে ডেঙ্গিতে মৃত্যু হিসাবে একের পর এক মৃত্যুকে তুলে ধরা হচ্ছে, তা সর্বৈব মিথ্যা বলে দাবি করেন মুখ্যমন্ত্রী।
সংবাদমাধ্যমে ডেঙ্গি মৃত্যু নিয়ে যে খবর দেখানো হচ্ছে বা ছাপা হচ্ছে তা নিয়েও উষ্মা প্রকাশ করে মুখ্যমন্ত্রীর দাবি, অসুখে মারা গেলেই ডেঙ্গি মৃত্যু বলে দেখিয়ে দেওয়া হচ্ছে। তা ঠিক নয়। বরং সংবাদমাধ্যমকে ডেঙ্গি সম্পর্কে সচেতনতা প্রসারে গুরুত্ব দেওয়ার আহ্বান জানান তিনি।