বাংলা ছেড়ে বহুকাল আগে চলে গেছেন নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বসু। তারপরে তাঁর ভবিষ্যৎ কি হল? জানতে পারল না বাংলার মানুষ। ১২১ তম জন্মদিবসে নেতাজীকে শ্রদ্ধার্ঘ জানাতে গিয়ে সেই আক্ষেপের সুর শোনা গেল মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কণ্ঠে। নেতাজির অন্তিম পরিণতি জানতে চেয়ে সওয়ালের পাশাপাশি এদিন ফের একবার সুভাষচন্দ্র বসুকে তাঁর প্রাপ্য রাজনৈতিক মর্যাদা দিয়ে ২৩ জানুয়ারি জাতীয় ছুটি ঘোষণার দাবি জানান তিনি। এই দুই দাবিতে ময়দান চত্বরে নেতাজির জন্মদিবসের অনুষ্ঠানে মঙ্গলবার সরব হলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, কেন্দ্রকে বারবার অনুরোধ করা হয়েছে ২৩ জানুয়ারি দিনটাকে জাতীয় ছুটি হিসাবে ঘোষণা করার। যারা নেতাজির জন্মদিনকে জাতীয় ছুটি হিসাবে ঘোষণা করে না, তাদের কাছ থেকে বেশি কিছু চাওয়াও ভুল বলে এদিন দাবি করেন মুখ্যমন্ত্রী।
দেশ জুড়ে এদিন সকাল থেকে সাড়ম্বরে পালিত হয় নেতাজির ১২১ তম জন্মদিন। প্রধানত পশ্চিমবঙ্গে তা পালিত হচ্ছে মহাসমারোহে। সকালে ময়দান চত্বরে নেতাজির মূর্তির পাদদেশে পুষ্পার্ঘ নিবেদন করতে উপস্থিত হন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নেতাজিকে শ্রদ্ধার্ঘ নিবেদন করতে আসেন মন্ত্রিসভার অন্যান্যরাও।
স্বাধীনতার পর থেকে নেতাজির অন্তর্ধান রহস্য নিয়ে বসানো হয়েছে একাধিক তদন্ত কমিটি, অথচ সুভাষচন্দ্র বসুর নিখোঁজ রহস্য নিয়ে অন্ধকারে থেকে গেছে দেশবাসী। এমনটাই ভাষণে দাবি করেন মুখ্যমন্ত্রী।
নেতাজীর জন্মদিনকে জাতীয় ছুটি ঘোষণা করুক কেন্দ্র, এই দাবিতে সুর চড়ান মুখ্যমন্ত্রী। নেতাজীর ‘সবুজের স্বপ্ন’ ‘তরুণের স্বপ্ন’–এর ভাবধারা আগামীদিনে হয়ে উঠবে তাঁর চলার পাথেয়। মঞ্চে আবেগতাড়িত কণ্ঠে সেই লক্ষ্যপূরণের প্রতিশ্রুতি দেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
(মুখ্যমন্ত্রীর ছবি – সৌজন্যে – ট্যুইটার – মমতা ব্যানার্জী অফিসিয়াল)