ঝাড়গ্রামের প্রশাসনিক বৈঠকে ফের এদিন মুখ্যমন্ত্রীর রুদ্রমূর্তি দেখলেন প্রশাসনিক প্রতিনিধিরা। ক্ষমতায় আছি বলেই যা খুশি তাই করব। এটা চলবে না। এদিন ফের একথা পরিস্কার করে দেন মুখ্যমন্ত্রী। বরং আরও বেশি করে মানুষের পাশে যাওয়ার, তাঁদের সময় দেওয়ার পরামর্শ দেন তিনি। বেশ কিছু জায়গায় সরকারি পরিষেবা পৌঁছচ্ছে না বলে তাঁর কাছে খবর আছে বলে এদিন দাবি করেন মুখ্যমন্ত্রী। সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের দাঁড় করিয়ে করিয়ে কড়া ভাষায় তাঁদের ভর্ৎসনা করেন। পরিস্কার করে দেন ঘরে বসে থাকলে চলবে না। কাজ করতে হবে। মানুষকে বেশি করে সময় দিতে হবে। তাঁদের সমস্যার কথা জানতে হবে। সমাধান করতে হবে।
প্রবীণ নেতা তথা ঝাড়গ্রামের বিধায়ক সুকুমার হাঁসদাও এদিন মুখ্যমন্ত্রী তোপের মুখ থেকে রেহাই পাননি। তাঁকেও বেশি করে কাজে সময় দেওয়ার পরামর্শ দেন মুখ্যমন্ত্রী। পাশাপাশি ঝাড়গ্রামের উন্নয়নে বেশ কিছু পদক্ষেপ গ্রহণের কথা জানান তিনি। সেতুর নিচের মাটি কাটা নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করে তা করতে পরিস্কার বারণ করে দেন। চালকলের বর্জ্য দিয়ে কী তৈরি করা যেতে পারে তা নিয়ে প্রশাসনিক কর্তাদের ভাবনা চিন্তা করতে বলেন মুখ্যমন্ত্রী।