
তবে কী ২০১৯-কে সামনে রেখে সরাসরি কংগ্রেসের সঙ্গে জোটের পথে যেতে চলেছে তৃণমূল? প্রশ্নটা এদিন উস্কে দিলেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ই। এদিন নজরুল মঞ্চে তৃণমূলের কোর কমিটির বৈঠকে তৃণমূলনেত্রী বলেন, তাঁর দল রাজ্যসভায় রাজ্য থেকে কংগ্রেসের প্রার্থীকে সমর্থন দেবে। মমতার এই ঘোষণার পর কংগ্রেস প্রার্থী অভিষেক মনু সিংভির রাজ্যসভায় যাওয়া নিশ্চিত হয়ে গেল। রাজ্যসভার ৫টি আসনে রাজ্য থেকে ৪টি থাকছে তৃণমূলের ঝুলিতে। সেখানে প্রার্থী হচ্ছেন আবির বিশ্বাস, শান্তনু সেন, শুভাশিস চক্রবর্তী ও নাদিমুল হক। পঞ্চম আসনটিও নিজেদের দখলে রাখার মত সংখ্যা তৃণমূলের নেই। কংগ্রেসেরও নেই। কিন্তু তৃণমূলের বাকি হাতে থাকা ভোটের সঙ্গে কংগ্রেসের ভোট মেলালে সেই সুযোগ হয়ে যাচ্ছে।
এদিন নজরুল মঞ্চে নিজের দলের প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী। পাশাপাশি এটাও জানিয়ে দেন পঞ্চম প্রার্থী হিসাবে কংগ্রেস প্রার্থীকে সমর্থন করা হবে। ত্রিপুরা বিধানসভা নির্বাচনের আগে তিনি রাহুল গান্ধীকে ত্রিপুরায় জোট গড়ার প্রস্তাব দিয়েছিলেন বলে জানান মুখ্যমন্ত্রী। কিন্তু তাতে রাহুল গান্ধী রাজি হননি। এবার কিন্তু কংগ্রেস প্রার্থীকে সমর্থন করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এক ঢিলে দুই পাখি মারলেন বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল। এক, রাজ্যে সিপিএমের সঙ্গে কংগ্রেসের গাঁটছড়া পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগেই কিছুটা দুর্বল করে দিলেন। দুই, ২০১৯-এর আগে অবিজেপি যে জোট গড়ে ভোটে লড়ার কথা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলে আসছিলেন তাতে কংগ্রেসের সঙ্গে জোট গড়ার প্রক্রিয়াটা শুরুর পথ এদিন সুগম করলেন।