পাহাড়ে অশান্তির পুনরাবৃত্তি চাননা তিনি। এটা গত মঙ্গলবার শিল্প সম্মেলনের শুরুতেও পরিস্কার করেছিলেন। আর বুধবার সমাপ্তি অনুষ্ঠানেও পরিস্কার করলেন। দার্জিলিংয়ে শান্তি প্রতিষ্ঠা করতে যে তিনি সেখানকার মানুষের ওপর সবচেয়ে বেশি ভরসা রাখতে চান, তাও এদিন আরও একবার বুঝিয়ে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দার্জিলিংয়ের মানুষকে তিনি এদিন আশ্বস্ত করে বলেন, তাঁরা যদি পাহাড়কে শান্ত রাখতে পারেন, তবে লক্ষ্মী তাঁদের ঘরের দোরগোড়ায় কড়া নাড়বে।
এদিন শিল্প সম্মেলনের শেষে মুখ্যমন্ত্রী জানান, এই সম্মেলনে বিভিন্ন শিল্পপতি পাহাড়ে লগ্নি করতে আগ্রহ দেখিয়েছেন। এখনও পর্যন্ত দেড় হাজার কোটি টাকার লগ্নি প্রায় নিশ্চিত পাহাড়ে। এছাড়াও মকাইবাড়ি ও মাটিগাড়ায় চা শিল্পে একটি শিল্প সংস্থা বিনিয়োগে রাজি। পাহাড়ে ২টি আইটি হাব তৈরি হতে চলেছে। কার্শিয়ংয়ে একটি এডুকেশন হাব হবে। এছাড়া তথ্যপ্রযুক্তি থেকে পর্যটন, সব ক্ষেত্রেই লগ্নিতে উৎসাহী শিল্পপতিরা।
দার্জিলিংয়ে অশান্তি ছড়াতে বিমল গুরুং নাকি সিকিমের কাছ থেকে সাহায্য পেয়েছিলেন। এমনকি তাঁকে যখন রাজ্য পুলিশ হন্যে হয়ে খুঁজছে তখনও সিকিমেই গা ঢাকা দিয়েছিলেন গুরুং। এবার সেই সিকিমের লগ্নিকারীদেরই দার্জিলিংয়ে লগ্নি করার আহ্বান জানালেন মুখ্যমন্ত্রী। দার্জিলিংয়ে শান্তি প্রতিষ্ঠা, উন্নয়ন সহ বিভিন্ন বিষয়ে সিকিমের মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকও করতে চলেছেন মুখ্যমন্ত্রী। উত্তরকন্যায় আগামী বৃহস্পতিবার সিকিমের মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে বসার কথা এদিন জানান মুখ্যমন্ত্রী।
(ছবি – সৌজন্যে – ট্যুইটার – এআইটিসি অফিসিয়াল)