অবিজেপি জোট তৈরি করে ২০১৯ এ বিজেপিকে গদিচ্যুত করার মূল কাণ্ডারির ভূমিকা এখন নিয়েছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। গত মঙ্গলবার দিল্লিতে তিনি দেখা করেন এনসিপি, শিবসেনা, টিআরএস সহ বিভিন্ন আঞ্চলিক নেতৃত্বের সঙ্গে। বুধবার দেখা করলেন বিজেপির ৩ বিদ্রোহী নেতার সঙ্গে। যাঁদের মধ্যে ২ জনকে অটলবিহারী বাজপেয়ী সরকারে অন্যতম মন্ত্রীর পদ সামলাতে দেখা গিয়েছিল। কিন্তু মোদী রাজত্বে তাঁরা কার্যত কোণঠাসা। সেই প্রাক্তন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী যশবন্ত সিনহা, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অরুণ শৌরি ও বিজেপি সাংসদ শত্রুঘ্ন সিনহা, এদিন দেখা করেন মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে। দীর্ঘক্ষণ কথা হয়। গত মঙ্গলবারই মুখ্যমন্ত্রী ২০১৯-এ বিজেপিকে হারাতে প্রতিটি রাজ্যে আঞ্চলিক শক্তিকে সামনে রেখে তাদের অন্য দলগুলির সাহায্য দেওয়ার তত্ত্ব সামনে আনেন। একের বিরুদ্ধে এক প্রার্থীর সেই তত্ত্ব একেবারেই সঠিক বলে এদিন বৈঠকের পর মেনে নেন অরুণ শৌরি। তিনি সাফ জানিয়েছে, বিজেপিকে হারাতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের রাস্তাই সঠিক রাস্তা। এতে একটা বড় অংশের ভোট বিজেপির বিরুদ্ধে যাবে।
এদিকে গত মঙ্গলবার মুখ্যমন্ত্রীর এই রাজনৈতিক দৌত্যের প্রচেষ্টায় কংগ্রেস কতটা উৎসাহী তা নিয়ে রাজনৈতিক মহলে প্রশ্ন উঠেছিল। কিন্তু বুধবারই সেই জল্পনায় জল ঢেলে সন্ধেয় তাঁর বাসভবনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ডেকে পাঠান ইউপিএ চেয়ারপার্সন সনিয়া গান্ধী। বুধবার সন্ধে ৭টা নাগাদ মুখ্যমন্ত্রীকে ১০ জনপথে ঢুকতে দেখা যায়।
এদিকে রামনবমীকে ঘিরে আসানসোলে অশান্তির ঘটনাকে সামনে রেখে এদিন মুখ্যমন্ত্রীর এই দৌত্যকে কটাক্ষ করেছে বিজেপি। বিজেপির কটাক্ষ, পশ্চিমবঙ্গে যখন ‘অগ্নিগর্ভ’ অবস্থা, তখন সব ফেলে দিল্লিতে রাজনীতি করতে ব্যস্ত মুখ্যমন্ত্রী। যদিও বিজেপির এই কটাক্ষের কোনও জবাব দেয়নি তৃণমূল নেতৃত্ব।