মমতার রোষে ২ মন্ত্রী, গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব নিয়ে কড়া বার্তা, ‘এনকাউন্টার’ মন্তব্যে দিলীপকে চ্যালেঞ্জ
তৃণমূলের বর্ধিত কোর কমিটির বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের রোষের মুখে পড়তে হল দলের ২ মন্ত্রী উজ্জ্বল বিশ্বাস ও রবীন্দ্রনাথ ঘোষকে। এদিন নেতাজি ইন্ডোরে বৈঠকে ২ মন্ত্রীকে দাঁড় করিয়ে কড়া ভাষায় তাঁদের ভর্ৎসনা করেন মুখ্যমন্ত্রী। দলে থেকে কেউ নিজেকে বড় মনে করলে সে দল ছেড়ে চলে যেতে পারে বলেও সাফ জানিয়ে দেন তৃণমূল নেত্রী। পঞ্চায়েত নির্বাচনে জঙ্গলমহলে তৃণমূলের বেশ কিছু জায়গায় পরাজয় তৃণমূল নেত্রী যে এখনও মেনে নিতে পারেননি তা এদিন তাঁর বক্তব্য থেকেই স্পষ্ট।
জঙ্গলমহলের উন্নতির চেষ্টা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। কিন্তু তারপরও পঞ্চায়েত নির্বাচনে জঙ্গলমহলে দলের খারাপ ফলের জন্য দলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বকেই কাঠগড়ায় চাপালেন মমতা। দলের কিছু নেতা বিজেপির কাছ থেকে টাকা নিয়েছে বলেও এদিন অভিযোগ করেন তিনি। টাকা নিয়ে ঝাড়গ্রামে তাঁরা দলের প্রচার থেকে বিরত থেকেছেন। যার সুযোগ পেয়েছে বিজেপি। গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব এভাবে চলতে থাকলে দল থেকে বার করে দেওয়ার বার্তাও এদিন পরিস্কারভাবে জানিয়ে দিয়েছেন তৃণমূল নেত্রী। পাশাপাশি পুরনো তৃণমূল কর্মীদের অবজ্ঞা করাও চলবে না বলে জানিয়ে দেন তিনি।
এদিন যুব তৃণমূলকেও একহাত নিয়েছেন নেত্রী। যুব তৃণমূল যে তৃণমূলের একটি শাখা মাত্র তা এদিন পরিস্কার করে বুঝিয়ে দিয়েছেন তিনি। ফলে তৃণমূল কোনও অনুষ্ঠান করলে তার পাশে একই দিনে যুব তৃণমূল আর একটি অনুষ্ঠান করবে, এটা হবে না বলে জানিয়ে দেন তিনি। যুব তৃণমূল একটি সমান্তরাল শক্তি হিসাবে কাজ করতে পারবেনা। ছাত্রনেতারা টাকা তুলতে পারবেননা বলেও সাফ জানিয়ে দেন তিনি। অন্যদিকে তৃণমূল ট্রেড ইউনিয়ন চাঁদা তুললে তার ৭৫ শতাংশ দলকে দিতে হবে বলেও জানিয়ে দেন তৃণমূল নেত্রী।
এদিন বিজেপির বিরুদ্ধেও সুর চড়িয়েছেন তৃণমূল নেত্রী। বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের এনকাউন্টার মন্তব্যকে সামনে রেখে মুখ্যমন্ত্রী এদিন চ্যালেঞ্জের সুরেই জানান যাঁরা এনকাউন্টার করার কথা বলছেন তাঁদের কত ক্ষমতা তিনি দেখবেন। পাশাপাশি তৃণমূল নেত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়ে দিয়েছেন, গুলি, বন্দুক দিয়ে রাজনীতি হয়না।
(ছবি – সৌজন্যে – ট্যুইটার – এআইটিসি অফিসিয়াল)