
২০১৯-এর লোকসভা নির্বাচনকে যে তিনি অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে দেখছেন তা শনিবার ২১শে জুলাইয়ের মঞ্চ থেকে অনেকটাই পরিস্কার করে দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন দলীয় নেতৃত্বকে একগুচ্ছ কর্মসূচি পালনের নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। সেই সূচি এদিন দলের প্রথমসারির নেতাদের লিখে নিতেও নির্দেশ দেন।
আগামী ২৭ জুলাই পালিত হবে নানুর দিবস। উপস্থিত থাকবেন ফিরহাদ হাকিম, সুব্রত বক্সিরা। তার পরদিন ২৮ জুলাই মেদিনীপুরে সভা করবে তৃণমূল। সভা হবে মেদিনীপুর কলেজ মাঠে। যেখানে গত সোমবার প্রধানমন্ত্রীর কৃষক কল্যাণ সমাবেশের আয়োজন হয়েছিল। ভেঙে পড়েছিল মঞ্চ। যেখানে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বক্তব্য রেখেছিলেন সেখানেই সমাবেশ করবে তৃণমূল। তৃণমূলের কোন কোন নেতা সেই অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন তারও তালিকা এদিন দিয়ে দিয়েছেন দলনেত্রী। বক্তব্য রাখবেন সুব্রত বক্সি, পার্থ চট্টোপাধ্যায়, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, শুভেন্দু অধিকারী, ফিরহাদ হাকিম ও কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়।
আগামী ১ অগাস্ট থেকে ১৫ অগাস্ট পর্যন্ত রাজ্য জুড়েই সাম্প্রদায়িক শক্তি হঠাও, বিজেপি হঠাও কর্মসূচি পালিত হবে। এরমধ্যে ৯ অগাস্ট দিনটি পালিত হবে ভারত ছাড়ো আন্দোলনকে সামনে রেখে। ওদিন বিজেপি ভারত ছাড়ো ধ্বনি তুলবে তৃণমূল। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজে সভা করবেন ঝাড়গ্রামে। এছাড়া ১৪ অগাস্ট মধ্যরাতে প্রতি বছরের মত তৃণমূল পালন করবে ফ্রিডম অ্যাট মিডনাইট। রাত ১২টায় রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করবেন তৃণমূল নেতা কর্মীরা।
আগামী ২৮ অগাস্ট তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সমাবেশ হবে গান্ধী মূর্তির পাদদেশে। ৫ সেপ্টেম্বর শিক্ষক দিবস। ওদিন সব শিক্ষক-শিক্ষিকা, অধ্যাপক-অধ্যাপিকাকে এলাকায় এলাকায় সম্মান জানানোর জন্য দলীয় নেতা কর্মীদের নির্দেশ দিয়েছেন মমতা। আর পুজোর পর থেকে জোর কদমে ব্রিগেড সমাবেশের প্রস্তুতি শুরুর নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।