
রাজ্যে এখন বিজেপি দ্বিতীয় শক্তি হিসাবে উঠে আসছে। ফলে কেন্দ্র, রাজ্য ২ দিকেই তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রধান প্রতিপক্ষ বিজেপি। এদিন ২১শে জুলাইয়ের মঞ্চ থেকে তাই বিজেপির বিরুদ্ধে তিনি যে সুর চড়াবেন তা অনুমেয় ছিল। এদিন তৃণমূল নেত্রী দাবি করেন রাজ্যে নিজেদের পায়ের তলার মাটি পেতে বিজেপি কোটি কোটি টাকা ছড়াচ্ছে। বাইক কিনে দিচ্ছে। ফোন কিনে দিচ্ছে। এলাকায় এলাকায় বাইরের লোক ঢুকে অশান্তি ছড়ানোর চেষ্টা করছে বলেও দাবি করেন তিনি। দলীয় নেতা কর্মীদের এ ব্যাপারে সতর্ক থাকার পরামর্শ দেন মমতা। নিজেদের এলাকায় কড়া নজর রাখার নির্দেশ দেন।
কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক জানিয়েছে দেশে তালিবানি কথাবার্তা বলা বা তালিবানি উগ্রপন্থা ছড়ানোর চেষ্টা হলে তা প্রতিহত করার দায়িত্ব রাজ্যের। তৃণমূল নেত্রী এদিন দাবি করেন এ রাজ্যে খোদ বিজেপিরই সভাপতি যে ধরণের কথা বলেন তা তালিবানি কথাবার্তাই। সবসময়েই পুলিশ পেটাও, তৃণমূল পেটাও বলে চেঁচাচ্ছেন তিনি। তাহলে রাজ্য কি এবার তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে? একইভাবে তৃণমূল নেত্রীর দাবি বিজেপির অন্য রাজ্য নেতারাও একই রকমভাবে উগ্রপন্থার কথা বলে চলেছেন। তাঁদের মুখে কোনও লাগাম নেই।
পাশাপাশি রাজ্যের বাইরেও বিজেপি উগ্রপন্থা চালাচ্ছে বলে দাবি করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর দাবি, দেশ জুড়ে একের পর এক হত্যা হচ্ছে। এজেন্সি দিয়ে আতঙ্ক ছড়ানোর চেষ্টা হচ্ছে। রেল স্টেশনের নাম বদলে দিচ্ছে। পড়ার বইয়ে নাম বদলে দিচ্ছে। যদিও তৃণমূল নেত্রীর দাবি, এসব কাজ পুরনো বিজেপি নেতারা করেননা।