গত শুক্রবারই সংসদে বিরোধীদের আনা অনাস্থা প্রস্তাবের ভোটাভুটিতে হেলায় জিতেছে বিজেপি নেতৃত্বাধীন এনডিএ সরকার। ৩২৫-১২৬ ব্যবধানে কার্যত কোনও প্রতিদ্বন্দ্বিতাই দিতে পারেনি বিরোধীরা। যদিও এটা বিজেপির হাউসের মধ্যের জয় হিসাবেই দেখছেন তৃণমূল নেত্রী। ২০১৯-এ বিজেপি আমজনতার ভোটে হারবে বলেই দাবি করেন তিনি। ২০১৯-এ বিজেপির প্রয়োজনীয় সংখ্যা গরিষ্ঠতা থাকা সম্ভব নয় বলেও এদিন দাবি করেন মমতা। তাঁর দাবি ১৫০টির বেশি আসন বিজেপি পাবেনা।
কীসের ভিত্তিতে তিনি একথা বলছেন তাও এদিন ২১শে জুলাইয়ের মঞ্চ থেকে পরিস্কার করে দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর দাবি, শুক্রবার লোকসভায় অনাস্থার ভোটাভুটিতে বিজেপির জয় শুধু তাঁদের সাংসদদের ভোটেই হয়নি। যে বিশাল অঙ্ক দেখা যাচ্ছে তাতে এডিএমকে-র একটা বড় ভূমিকা রয়েছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দাবি, এডিএমকে নেত্রী জয়ললিতা বেঁচে থাকলে এটা হতনা। তিনি এভাবে বিজেপিকে সমর্থন দিতেননা। তৃণমূল নেত্রীর আরও দাবি তামিলনাড়ুতে এডিএমকে আর জিততে পারবে না। জিতবেন স্ট্যালিন। তিনি যে ডিএমকে-র পাশে রয়েছেন এদিন সেটাও পরিস্কার করে দেন মমতা।
এছাড়া তৃণমূল নেত্রী রাজ্য ধরে ধরে হিসাব করে জানান, বিহারে লালুপ্রসাদ যাদব অনেক আসন নিয়ে যাবেন। মধ্যপ্রদেশে এক চতুর্থাংশ আসনও এবার বিজেপি পাবে না। ২৮টি আসনের মধ্যে ৮টা পাবে কিনা সন্দেহ। উত্তরপ্রদেশে মুলায়ম সিং যাদব আর মায়াবতী হাত মেলালে সেখানেও বিজেপি জিততে পারবে না। হারবে অধিকাংশ আসনে। এমনকি গুজরাট, রাজস্থানেও বিজেপি ধরাশায়ী হবে বলে এদিন দাবি করেন তৃণমূল নেত্রী।