সরাসরি অভিযুক্ত না করলেও মাঝেরহাট ব্রিজ ভেঙে পড়ার ক্ষেত্রে কিয়দংশে এদিন মেট্রোর কাজের কম্পনের দিকেই আঙুল তুললেন মুখ্যমন্ত্রী। মেট্রো সম্পূর্ণ হলে স্থানীয় মানুষের সুবিধা হলেও তার আগে মেট্রোর কাজের জন্য এলাকাবাসী নানা সমস্যায় জর্জরিত। এছাড়া মেট্রোর কাজের জন্য কম্পন হচ্ছে। একথা এদিন পরিস্কার করে দেন মুখ্যমন্ত্রী। পাশাপাশি মুখ্যমন্ত্রী মাঝেরহাট ব্রিজের ভাঙা অংশ ঘুরে দেখার পর জানান, আরও বড় ঘটনা ঘটতে পারত। আরও বহু মানুষের প্রাণ যেতে পারত। ঈশ্বরের কৃপায় তা হয়নি। এদিন ১টি দেহ যে আরও উদ্ধার হয়েছে তাও জানিয়ে দেন মুখ্যমন্ত্রী। এছাড়া সিএমআরআই ও এসএসকেএম হাসপাতালে ২ জন এখনও সংকটজনক অবস্থায় রয়েছেন। মুখ্যমন্ত্রী জানান, মৃতদের পরিবার পিছু ৫ লক্ষ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেবে রাজ্য সরকার। গুরুতর আহতদের ১ লক্ষ টাকা করে ক্ষতি পূরণ ও অল্প আহতদের ৫০ হাজার টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেবে রাজ্য।
এদিন মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন, রাজ্যে এমন অনেক ব্রিজ রয়েছে যার কাগজ পাওয়াই দুষ্কর। কারণ তা বহু পুরনো ব্রিজ। সেই ব্রিজ তৈরির সময়ের কাগজপত্র এখন অনেকই নেই। তবু দক্ষ ইঞ্জিনিয়ারদের দিয়ে প্রতি ৬ মাসে একবার করে ব্রিজগুলির পর্যবেক্ষণের ব্যবস্থা করা হয়ে। আগামী বৃহস্পতিবার বিকেল সাড়ে ৩টের সময় তিনি এ বিষয়ে একটি জরুরি বৈঠকও ডেকেছেন বলে জানান মুখ্যমন্ত্রী। ব্রিজ ভেঙে পড়ার পর উদ্ধারে স্থানীয় মানুষরা হাত লাগানোয় তাঁদের ধন্যবাদ জানান তিনি।
গত মঙ্গলবার বিকেলে যখন মাঝেরহাট ব্রিজ ভেঙে পড়ে তখন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ছিলেন দার্জিলিংয়ে। ৩ দিনের সফর থাকলেও বুধবার সকালে একটি অনুষ্ঠান সেরেই কলকাতা ফেরেন তিনি। এদিন সন্ধে ৬টা নাগাদ দমদম বিমানবন্দরে অবতরণ করেন। তারপর সেখান থেকে সোজা হাজির হন ভেঙে পড়া মাঝেরহাট ব্রিজ ঘুরে দেখতে। সন্ধে ৬টা ৪০ নাগাদ পৌঁছন মুখ্যমন্ত্রী। সঙ্গে ছিলেন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম, মন্ত্রী তথা মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায়, মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস, মুখ্যসচিব, ডিজি, নগরপাল সহ অনেকে।