মাঝেরহাট ব্রিজ ভেঙে পড়ল কেন? কার ভুলে এমন ভয়ংকর কাণ্ড ঘটল? কার গাফিলতি ছিল? এসব প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে মুখ্য সচিবের নেতৃত্বে একটি কমিটি গড়ে দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই কমিটি তাদের প্রাথমিক রিপোর্ট এদিন পেশ করে মুখ্যমন্ত্রীর কাছে। সেই রিপোর্টের ভিত্তিতে এদিন নবান্নে মুখ্যমন্ত্রী স্বীকার করে নেন, মাঝেরহাট ব্রিজ ভেঙে পড়ায় পূর্ত দফতর দায়ী। এছাড়া মেট্রোর কাজেরও কিছু প্রভাব থেকে থাকতে পারে।
আগেই মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছিলেন মাঝেরহাট ব্রিজ ভাঙায় যাদের দোষ প্রমাণ হবে তাদের কড়া শাস্তির মুখে পড়তে হবে। এদিনের ঘোষণার পর আপাতত প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে মমতার মন্ত্রিসভার অন্যতম মুখ ফিরহাদ হাকিমের দায়িত্বে থাকা পূর্ত দফতরের দায় সামনে আসার পর মুখ্যমন্ত্রী এখন কী করবেন? তাঁরই সরকারের একটি দফতর দায়ী হওয়ায় বিরোধীরাও অক্সিজেন পাবে বলে মনে করছে রাজ্য রাজনৈতিক মহল।
এদিন মুখ্যমন্ত্রী অবশ্য জানিয়েছেন এই রিপোর্ট চূড়ান্ত রিপোর্ট নয়। প্রাথমিক রিপোর্ট। ১ মাসের মধ্যে মুখ্য সচিবের নেতৃত্বাধীন এই কমিটি চূড়ান্ত রিপোর্ট দেবে। তারপর যা ব্যবস্থা নেওয়ার নেওয়া হবে। এদিন মুখ্য সচিবের নেতৃত্বাধীন কমিটি পরামর্শ দিয়েছে মাঝেরহাট ব্রিজের বাকি অংশও ভেঙে ফেলে সেখানে নতুন ব্রিজ তৈরি করা হোক। এ প্রশ্নও উঠছিল যে মাঝেরহাট ব্রিজের যে অংশ রয়ে গিয়েছে তা রেখেই ব্রিজ তৈরি হবে? নাকি পুরোটা ভেঙে নতুন করে সেখানে ব্রিজ গঠন করা হবে? এদিন মুখ্যমন্ত্রী জানিয়ে দিয়েছেন পুরনো ব্রিজের বাকি অংশ ভেঙে ফেলে মাঝেরহাটে নতুন ব্রিজ তৈরি হবে। যাতে তা ১ বছরের মধ্যে সম্পূর্ণ হয় সেদিকেও নজর রাখা হবে। মুখ্য সচিবের নেতৃত্বেই তৈরি হবে নতুন ব্রিজ।