৩ দিনের মাথায় ধর্না প্রত্যাহার করে নিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্টের রায় সামনে আসার পর থেকেই এই জল্পনা শুরু হয় তবে কী ধর্না প্রত্যাহার করে নেবেন মুখ্যমন্ত্রী? কারণ তিনি নিজেই সুপ্রিম নির্দেশকে নৈতিক জয় বলে ব্যাখ্যা করেছেন। যদিও মুখ্যমন্ত্রী পরিস্কার করে দেন যে বিরোধী নেতারা এই ধর্নায় তাঁর পাশে থেকেছেন তাঁদের সঙ্গে কথা না বলে কোনও সিদ্ধান্ত তিনি নেবেননা।
এদিন বিকেলে ধর্নামঞ্চে হাজির হন চন্দ্রবাবু নাইডু ও তেজস্বী যাদব। তাঁদের সঙ্গে কথা বলেন মুখ্যমন্ত্রী। তারপর চন্দ্রবাবু নাইডুকে পাশে নিয়ে সন্ধেয় ঘোষণা করেন কেন্দ্রের এনডিএ সরকার বিরোধী নেতাদের অনুরোধে তিনি ধর্না প্রত্যাহার করছেন। তবে তাঁদের আন্দোলন থেমে থাকবে না। আগামী সপ্তাহে দিল্লিতে কেন্দ্র বিরোধী কর্মসূচি গ্রহণ করা হবে।
গণতন্ত্র রক্ষা, সংবিধান রক্ষাকে সামনে রেখে গত রবিবার রাতে ধর্নায় বসেন মুখ্যমন্ত্রী। কলকাতার পুলিশ কমিশনার রাজীব কুমারের বাড়িতে সিবিআই ঢোকার চেষ্টাকে সামনে রেখে উত্তপ্ত পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়। হাজির হন মুখ্যমন্ত্রী। রাজীব কুমারের বাড়িতে হাজির হন তিনি। সেখান থেকে বেরিয়েই ধর্নায় বসার কথা জানান।
এদিন মঞ্চে দাঁড়িয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে এমন এক ধর্নার সাহস দেখানোর জন্য ধন্যবাদ জানান অন্ধ্রপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী। তিনি জানান মুখ্যমন্ত্রীর পাশে আছেন তাঁরা সবাই। তিনি মমতাকে ধর্না প্রত্যাহারের জন্য প্রকাশ্যেই অনুরোধ করেন। এদিন কটাক্ষের সুরেই চন্দ্রবাবু বলেন, এ দেশে সবাই দুর্নীতি পরায়ণ। কেবল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও বিজেপি সভাপতি অমিত শাহ ছাড়া।