বুধবার সকাল থেকেই দিল্লিতে ব্যস্ত ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সকালে যান সংসদের সেন্ট্রাল হলে। সেখানে বেশ কয়েকজন নেতার সঙ্গে দেখা করেন তিনি। সেখানে সনিয়া গান্ধীর সঙ্গেও তাঁর দেখা হয়। এদিন দিল্লিতে জিটিএ ভবনেরও শিলান্যাস করেন মুখ্যমন্ত্রী। এরপর বিকেলে হাজির হন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী তথা বিরোধী জোটের অন্যতম মুখ অরবিন্দ কেজরিওয়ালের ধর্নামঞ্চে। ধর্নামঞ্চে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ছাড়াও হাজির ছিলেন সীতারাম ইয়েচুরি, শরদ যাদব, চন্দ্রবাবু নাইডু সহ অনেক নেতা। আর অবশ্যই হাজির ছিলেন অরবিন্দ কেজরিওয়াল।
মঞ্চ থেকে ভাষণ দিতে গিয়ে প্রথমেই নিজের হিন্দি বলার দুর্বলতার জন্য ক্ষমা চেয়ে নেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি জানান দিল্লিতে অরবিন্দ কেজরিওয়ালের দল লড়বে। তাঁরা সকলে তাঁকে সমর্থন করবেন। দিল্লির ৭টি আসনেই আপ-কে জেতানোর আর্জিও জানান তিনি। সেইসঙ্গে এদিন অত্যন্ত উল্লেখজনকভাবে মমতা জানান, রাজ্যে সিপিএম, কংগ্রেস তাঁর সঙ্গে লড়াই করতে পারে। কিন্তু দিল্লিতে তাদের তিনি পাশে থাকবেন। মোদী সরকারকে হঠানোই তাঁর একমাত্র লক্ষ্য।
এদিন নরেন্দ্র মোদী সরকারের বিরুদ্ধেও তোপ দাগেন মমতা। তাঁর অভিযোগ, এজেন্সি দিয়ে ভয় দেখাচ্ছে মোদী সরকার। কিন্তু কতদিন দেখাবে? আর একমাস পরেই ভোটের দিন ঘোষণা হয়ে যাবে। লাগু হবে নির্বাচন আচরণবিধি। তার আগে যদি তাঁর বাড়িতেও সিবিআই পাঠাতে চায় মোদী সরকার পাঠাতে পারে বলে জানিয়ে মমতা বলেন, কবে পাঠাবেন বলে রাখলে তিনি তাদের জন্য রান্না করে রেখে দেবেন।
মমতা এদিন দাবি করেন সকলের ফোনে আড়ি পাতা হচ্ছে। রাজনৈতিক নেতা থেকে আমলা, সংবাদমাধ্যমের মাথা। সকলের ফোনে আড়ি পাতা হচ্ছে। এমনকি হোয়াটসঅ্যাপও সুরক্ষিত নয় বলে দাবি করে তিনি জানান, এই প্রযুক্তি ইজরায়েল থেকে এনেছে মোদী সরকার।
এদিন কার্যত ব্যক্তিগত আক্রমণের রাস্তায় হাঁটেন মুখ্যমন্ত্রী। নরেন্দ্র মোদী নিজের ৫৬ ইঞ্চি ছাতির কথা বলেন। সেই ৫৬ ইঞ্চি ছাতির কথা তুলে এদিন মমতার কটাক্ষ, ৫৬ ইঞ্চি ছাতি তো রাবণেরও ছিল। দিল্লিতে বিজেপি পার্টি অফিসকে শপিং মলের সঙ্গে তুলনা করেন মমতা।
(সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা)