যুযুধান ২ পক্ষ। কেউ কাউকে এতটুকু জমি ছাড়ছে না। লোকসভা নির্বাচনে বারবার রাজ্যে ফিরে আসছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। জনসভা করছেন। পশ্চিমবঙ্গে আসন বাড়াতে বিজেপি কতটা মরিয়া তা মোদীর লাগাতার সভা থেকে পরিস্কার রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের কাছে। নরেন্দ্র মোদী সভায় একের পর এক তৃণমূলকে নিশানাও করছেন। তার আবার পাল্টা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁর সভামঞ্চ থেকে উত্তর দিচ্ছেন। আবার মুখ্যমন্ত্রী মোদী বা বিজেপি বিরোধী মন্তব্য করলে তার আবার পাল্টা দিচ্ছেন মোদী। এই লড়াই টানা ১ মাস যাবত দেখছেন রাজ্যের মানুষ।
বৃহস্পতিবার পুরুলিয়ার সভামঞ্চ থেকে প্রধানমন্ত্রী সরাসরি অভিযোগ করেন রাজ্যের তৃণমূল সরকার কয়লা মাফিয়াদের সুবিধা করে দিচ্ছে। তাদের সরকারের অংশ করে ফেলেছে। এই অভিযোগ কানে যেতেই পাল্টা উত্তর দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মুখ্যমন্ত্রী এদিন চ্যালেঞ্জের সুরেই বলেন তৃণমূল যে ৪২ জন প্রার্থী এবার রাজ্যের ৪২টি আসনে দাঁড় করিয়েছে তার একজনের সঙ্গে কয়লা মাফিয়া যোগ প্রমাণ করতে পারলে তিনি ৪২ জন প্রার্থীই তুলে নেবেন।
প্রধানমন্ত্রী এদিন ভাষণে চাঁচাছোলা ভাষায় তৃণমূলকে নিশানা করে দাবি করেন, পুরুলিয়া, বাঁকুড়ায় আদিবাসীদের কথা ভাবেনি তৃণমূল। খনি শ্রমিকদের কথা ভাবেনি। কেবল মাফিয়াদের সঙ্গে হাত মিলিয়ে তাদের থেকে তৃণমূল নেতারা ফায়দা লুটেছেন। মাফিয়া রাজকে বাড়তে দিয়েছেন। এক্ষেত্রে মাফিয়া রাজকে বাড়তে দেওয়ায় তৃণমূল ও তার আগের বাম সরকারেও কাঠগড়ায় তুলেছেন মোদী।
এর পাল্টা হিসাবে মুখ্যমন্ত্রী তাঁর জনসভা থেকে বলেন, রাজ্যে লোকসভা নির্বাচনে তৃণমূলের ৪২ জন প্রার্থীর মধ্যে ১ জনের সঙ্গেও যদি কয়লা মাফিয়াদের যোগ প্রমাণ করতে পারেন প্রধানমন্ত্রী তবে তিনি ৪২টি আসন থেকেই প্রার্থী প্রত্যাহার করে নেবেন। মমতার দাবি, কয়লা কেন্দ্রের অধীন। আর বিজেপি নেতারা এখন কয়লা লেনদেনের এজেন্ট। মুখ্যমন্ত্রী এদিন আরও দাবি করেন তাঁর কাছে একটি পেন ড্রাইভ রয়েছে। যদি তিনি তা প্রকাশ করে দেন তাহলে কয়লা মাফিয়া ও গরু পাচারের অনেক সত্য সামনে চলে আসবে।