রাজ্যে যে গেরুয়া তাদের শিকড় অনেকটাই মজবুত করতে পেরেছে তা ইতিমধ্যেই পরিস্কার হয়েছে। রাজ্যে গতবার বিজেপির আসন ছিল ২টি। সেখান থেকে এবার ২ অঙ্কের ফলের দিকে ইঙ্গিত অনেকটাই স্পষ্ট। এই ছবি পরিস্কার হওয়ার পর এদিন দুপুরে একটি ট্যুইট করেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ট্যুইটে তিনি লেখেন, জয়ীদের অভিনন্দন। তবে যাঁরা হেরেছেন তাঁরা পরাজিত নন। ফলাফলের পুরো পর্যালোচনা করা হবে। তারপরই মতামত ভাগ করে নেওয়া হবে। ভিভিপ্যাট ম্যাচ করে পুরো গণনা সম্পূর্ণ হতে দিন।
রাজ্যে গণনা শুরুর পর প্রথম জয়ের খবর এসেছে তৃণমূল প্রার্থীর। কলকাতা দক্ষিণ থেকে জয়ী হয়েছেন মালা রায়। লক্ষাধিক ভোটে জয় পেয়েছেন তিনি। তবে সার্বিক ফলের দিকে চেয়ে তৃণমূল কিন্তু অনেকটাই যেন মুষড়ে পড়েছে। জয়ের উচ্ছ্বাস কম। কয়েক জায়গায় মিছিল বার হলেও সেখানে উচ্ছ্বাস তেমন ছিলনা। ভোট গণনা মানেই সবুজ আবিরে চারধার ছেয়ে যাওয়া দেখেই গত ১০ বছরে অভ্যস্ত রাজ্যবাসী। এবার কিন্তু সেই চিত্র নেই। বরং রাজ্যের বেশ কিছু গণনাকেন্দ্রের বাইরে বেলা বাড়তে তৃণমূল কর্মীদের সেভাবে খুঁজেই পাওয়া যায়নি।
দেশ জুড়েই কিন্তু বিজেপির অসামান্য জয়ের ছবি অনেকটাই পরিস্কার। প্রায় সর্বত্রই বিজেপির জয়জয়কার। গেরুয়া ঝড়। খোদ রাহুল গান্ধীও আমেঠিতে পিছিয়ে। কংগ্রেসের সুশীল শিণ্ডে, মল্লিকার্জুন খাড়গের মত নেতারাও হারের মুখে। অন্যদিকে বিজেপির তুফানেও হারের মুখে বিজেপি প্রার্থী হেমা মালিনী, মানেকা গান্ধী।