লোকসভা ভোটে বিপর্যয়ের পর্যালোচনায় কালীঘাটে বৈঠকের ডাক দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই বৈঠকে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী পদ থেকে পদত্যাগের ইচ্ছা প্রকাশ করেন তিনি। তাঁর দাবি গত ৫ মাস ধরে তাঁকে কাজ করতে দেওয়া হচ্ছেনা। প্রশাসনের দখল নিয়ে বসে ছিল নির্বাচন কমিশন। এই অবস্থায় তাঁর পক্ষে কাজ চালিয়ে যাওয়া মুশকিল। এভাবে তাঁকে কাজ না করতে দেওয়াকে অপমান বলে মনে করছেন মুখ্যমন্ত্রী। যদিও দল তাঁর সেই ইচ্ছাকে মেনে নেয়নি বলেও এদিন জানান মুখ্যমন্ত্রী। এদিন মুখ্যমন্ত্রী পরিস্কার করে দেন তাঁর কাছে চেয়ার বড় নয়। দল অনেক বড়। লড়াই অনেক বড়। সেই লড়াই তিনি চালিয়ে যেতে চান।
লোকসভায় খারাপ ফলের পর দলীয় সংগঠনে ব্যাপক রদবদল করেন মুখ্যমন্ত্রী। জেলা সভাপতি বদলে দিয়েছেন। সাফ জানিয়েছেন দলের মধ্যে থেকেও দলের বিরুদ্ধে অনেকে কাজ করেছেন। তাঁদের রেয়াত করা হবে না। ব্লক স্তরেও হারের কারণ খুঁজে দেখা হবে। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের দায়িত্বভার কমানো হয়েছে। তিনি সকলের সঙ্গে সমন্বয় সাধনের কাজ করবেন।
শুভেন্দু অধিকারীকে জঙ্গলমহল দেখার দায়িত্ব দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। রায়গঞ্জ থেকে হারা কানাইয়ালাল আগরওয়ালকে উত্তর দিনাজপুরের জেলা সভাপতি করা হয়েছে। মালদার জেলা সভাপতি করা হয়েছে মৌসম বেনজির নূরকে। তিনিও এবার হেরেছেন। গতবার জিতলেও এবার বালুরঘাট থেকে হারা অর্পিতা ঘোষকে দক্ষিণ দিনাজপুরের সভাপতির করা হয়েছে। উত্তরবঙ্গের চেয়ারম্যান করা হয়েছে এবার দার্জিলিং থেকে হারা অমর সিং রাইকে।
লোকসভায় তৃণমূলের দলনেতা হলেন সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়। মুখ্য সচেতক কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। অন্যদিকে মৌসম বেনজির নূরকে মহিলা কমিশনের চেয়ারম্যানও করা হয়েছে। দলের মধ্যেই যে বিশ্বাসঘাতক রয়েছে তা এদিন বুঝিয়ে দেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। অন্যদিকে উগ্র হিন্দুত্ববাদ ও উগ্র মৌলবাদ তিনি মানেন না বলে এদিন পরিস্কার করেছেন মমতা। তিনি দাবি করেন, সাম্প্রদায়িকতার রাজনীতি তিনি করেন না। তাঁর কাছে সব ধর্মই সমান।