Kolkata

কাজে ফিরুন, নইলে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে, জানিয়ে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী

জুনিয়র ডাক্তারদের আন্দোলন আর বরদাস্ত করবে না সরকার। এনআরএস কাণ্ডের তদন্ত হবে। দোষীদের চিহ্নিত করা হবে। কিন্তু সেজন্য কাজ বন্ধ রাখলে চলবে না। রোগীদের চিকিৎসা দেওয়া ডাক্তারদের কাজ। এটা জরুরি পরিষেবা। পুলিশের কাজ করতে গেলেও অনেকের মৃত্যু হয়। তাবলে পুলিশ বলে না আমরা আর কাজ করব না। হয় আন্দোলনরত জুনিয়র ডাক্তাররা অবিলম্বে কাজে যোগ দিন। নতুবা তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। বৃহস্পতিবার এসএসকেএম-এ গিয়ে একথা পরিস্কার জানিয়ে এলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি এও বলেন যে যাঁরা কাজে যোগ দিলেন তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে না। কিন্তু যাঁরা যোগ দেবেন না তাঁদের বিরুদ্ধে আইনত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। তাছাড়া তাঁরা আর হাসপাতালের হস্টেল ব্যবহার করতে পারবেন না। তাঁদের হস্টেল খালি করে দিতে হবে।

সোমবার রাতে এনআরএস হাসপাতালে রোগী মৃত্যুকে কেন্দ্র করে ধুন্ধুমার কাণ্ড হয়। মারমুখী জনতা ও জুনিয়র ডাক্তারদের মধ্যে খণ্ডযুদ্ধ বেঁধে যায়। সেখানে ২ জন জুনিয়র ডাক্তার প্রহৃত হন। তাঁদের মধ্যে পরিবহ মুখোপাধ্যায় নামে এক জুনিয়র ডাক্তারের করোটি ফেটে যায়। তাঁকে নিউরো সায়েন্সে ভর্তি করা হয়। এরপরই তাঁদের সুরক্ষা নিশ্চিত করার দাবিতে এনআরএস-এর গেট বন্ধ করে বিক্ষোভে সামিল হন জুনিয়র ডাক্তাররা। রাস্তায় মিছিল করা হয়। অন্য হাসপাতালেও প্রতীকী কর্মবিরতি পালন করা হয়। মঙ্গলবারের পর বুধবার রাজ্য জুড়ে সব সরকারি হাসপাতালে ওপিডি বন্ধ রাখেন সিনিয়র ডাক্তাররা। তাঁরাও জুনিয়র ডাক্তারদের পাশে দাঁড়ান। এদিকে মঙ্গল ও বুধবার দূরদূরান্ত থেকে আসা বহু রোগী চিকিৎসা না পেয়ে সমস্যায় পড়েন। অনেক জায়গা থেকে আশঙ্কাজনক রোগী এসেও তাঁরা ঠিকমত চিকিৎসা পাননি বলে অনেকে অভিযোগ করেন। আন্দোলনের ধাক্কায় এই হাসপাতাল থেকে ওই হাসপাতাল ঘুরতে হয় রোগীদের। এই অবস্থায় বৃহস্পতিবার এসএসকেএম হাসপাতালে হাজির হন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।


এসএসকেএম হাসপাতালে পৌঁছনোর পর মুখ্যমন্ত্রী জুনিয়র ডাক্তারদের বিক্ষোভের মুখে পড়েন। তারপরই মুখ্যমন্ত্রী জানিয়ে দেন হয় জুনিয়র ডাক্তাররা কাজে ফিরুন। নাহলে পদক্ষেপ করা হবে। মুখ্যমন্ত্রী এদিন দাবি করেন তিনি জুনিয়র ডাক্তারদের সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে কথা বলতে চাইলেও তাঁরা কথা বলেননি। এমনকি স্বাস্থ্যমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্যকে ফোন করে বিক্ষোভরত ২ জন ছাত্রের সঙ্গে কথা বলতে চান মুখ্যমন্ত্রী। কিন্তু তিনি ফোনে ধরে থাকলেও বিক্ষোভরতরা কেউ তাঁর সঙ্গে কথা পর্যন্ত বলেননি।


Show Full Article

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button