১৮ অগাস্ট ১৯৪৫। তাইহোকু বিমানবন্দর থেকে একটি বিমান ধরেন নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু। সেই শেষবার তাঁকে জনসমক্ষে দেখা গিয়েছিল। তারপর থেকে তাঁর আর কোনও খোঁজ পাওয়া যায়নি। তাঁর পরিবারের কয়েকজন সহ একাংশের মানুষ মনে করেন তাইহোকু বিমানবন্দরে বিমান দুর্ঘটনায় তাঁর মৃত্যু হয়। কিন্তু নেতাজির পরিবারের অন্যদের দাবি বিমান দুর্ঘটনায় নেতাজির মৃত্যু হয়নি। গবেষকদের সিংহভাগ মনে করেন বিমান দুর্ঘটনায় নেতাজির মৃত্যুর কথা সাজানো হয়েছিল। তাহলে সঠিক কী হয়েছিল নেতাজির সঙ্গে? সে প্রশ্ন আজও রহস্যাবৃত।
নেতাজি অন্তর্ধান রহস্য ভেদ করতে ভারত সরকার বিভিন্ন সময়ে ৩টি কমিশন গঠন করে। যার শেষ কমিশনটি ছিল মুখার্জি কমিশন। বিচারপতি মনোজ কুমার মুখোপাধ্যায়ের এই কমিশন নেতাজি অন্তর্ধান রহস্য ভেদে ৬ বছর সময় নেয়। তারপর যে রিপোর্ট কমিশন পেশ করে তা ২০০৬ সালে কেন্দ্রে ক্ষমতাসীন কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন ইউপিএ সরকার খারিজ করে দেয়। সেই রিপোর্টটি পুরো প্রকাশ্যে না এলেও মুখার্জি কমিশন সাফ জানিয়ে দেয় কোনও বিমান দুর্ঘটনায় নেতাজির মৃত্যু হয়নি।
রবিবার ছিল সেই ১৮ অগাস্ট। নেতাজি এদিনই হারিয়ে গিয়েছিলেন। দিনটাকে সামনে রেখে এদিন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ট্যুইট করে দাবি তোলেন এই দিনেই তিনি হারিয়ে গিয়েছিলেন। তারপর তাঁর সঙ্গে ঠিক কী হয়েছিল তা এখনও অজানা। মানুষের অধিকার আছে নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বসুর কী হয়েছিল তা জানার।
প্রসঙ্গত নরেন্দ্র মোদী ক্ষমতায় আসার পর নেতাজি সংক্রান্ত অনেকগুলি ফাইল প্রকাশ্যে আনেন। যদিও তা থেকে নেতাজির ঠিক কী হয়েছিল তা জানা যাচ্ছেনা। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও ২০১৫ সালে রাজ্য সরকারের কাছে থাকা নেতাজি সংক্রান্ত ৬৪টি ফাইল প্রকাশ্যে এনে দেন।
এত ফাইল প্রকাশ্যে এলেও তা থেকে এটা কিন্তু এখনও জানা যায়নি যে নেতাজির ঠিক কী হয়েছিল। মুখ্যমন্ত্রী এদিন নেতাজির ঠিক কী হয়েছিল তা জানতে চেয়ে কিন্তু দলমত নির্বিশেষে বহু মানুষের মনের কথা ফের একবার বলে দিলেন। গোটা দেশই কিন্তু জানতে চায় নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বসুর সঙ্গে ঠিক কী হয়েছিল।