
তৃণমূল ছাত্র পরিষদের প্রতিষ্ঠা দিবসে পুরনো মেজাজেই দেখা গেল মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনে তাঁর সামনে কংগ্রেস, সিপিএম নয়, আপাতত বড় কাঁটা বিজেপি। তাই আগামী ২ বছর তৃণমূল ছাত্র সংসদকে লড়াই চালিয়ে যাওয়ার আহ্বান জানালেন মুখ্যমন্ত্রী। তরুণ প্রজন্মকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান তিনি। তৃণমূল ছাত্র পরিষদের প্রতিষ্ঠা দিবসে বুধবার দুপুরে মেয়ো রোডের সমাবেশে বক্তব্য রাখতে গিয়ে এদিন ছাত্র-যুবদের উদ্বুদ্ধ করার চেষ্টায় ত্রুটি রাখেননি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
হালে মেচেদায় একটি জনসভা থেকে বিজেপি সাংসদ তথা রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ বিজেপি কর্মীদের মিথ্যা মামলায় ফাঁসানো হচ্ছে বলে দাবি করে জনসভা থেকে দলীয় কর্মীদের পুলিশ ও তৃণমূল নেতাদের না ছাড়ার কথা বলেন। তিনি এও বলেন, তিনি যদি খুন করতে শুরু করেন তবে বংশ লোপাট করে দেবেন। এধরনের উত্তেজক মন্তব্য নিয়ে রাজনৈতিক মহলে এতদিন জলঘোলা হচ্ছিল। এদিন মেয়ো রোডের মঞ্চ থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তার উত্তর দেন। বলেন, তাঁরা প্রচুর লড়াই করে এসেছেন। যাঁরা চমকানো দেখেননি তাঁদের চমকানো যায়। যাঁরা লড়াই করেই জীবন কাটিয়েছেন তাঁদের চমকানো যায়না। বন্দুকের সামনে দাঁড়িয়ে রাজনীতি করেছেন তিনি। তাঁকে ভয় দেখানো যাবেনা।
বিজেপি নেতা মুকুল রায়ের দাবি তিনি তৃণমূলের ১০৭ জন বিধায়কের নাম নিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছেন। এদিন নাম না করে এ নিয়ে মুকুল রায়কেও বিঁধেছেন মমতা। কটাক্ষের সুরেই তিনি বলেন ১০৭ জন তো পরের কথা আগে ৭ জনের নাম বার করে দেখাক। তাঁর দাবি, কেন্দ্রীয় সংস্থাকে ব্যবহার করে জোর করে বিজেপিতে নাম লেখাতে বলা হচ্ছে। বিজেপিতে যোগ না দিলে জেলে ভরার ভয় দেখানো হচ্ছে। তৃণমূলনেত্রী এদিন সাফ জানান, তিনি জেলে যেতে রাজি আছেন। কিন্তু বিজেপির সাম্প্রদায়িক রাজনীতি মেনে নেবেন না।
আগামী দিনে তৃণমূল যুব নেতা তিনি নিজে সকলের সঙ্গে কথা বলে তৈরি করবেন বলেও জানিয়েছেন তৃণমূল নেত্রী। একটি সবুজ রঙের ফর্ম পূরণ করে পাঠাতে হবে। তার থেকে বাছাই করে তিনি নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে তরুণ প্রজন্মের নেতানেত্রীদের সঙ্গে কথা বলবেন। ১৪ ও ১৫ নভেম্বর কথা বলবেন তিনি। তারপর সেই আলোচনার পর তিনি নেতা নির্বাচন করবেন। যাঁরা নিঃস্বার্থভাবে মানুষের জন্য কাজ করতে চান কেবল তাঁদেরই আবেদন করার আহ্বান জানান মমতা।