চন্দ্রযান-২ নিয়ে যে হৈচৈ করা হচ্ছে তা আসলে দেশের আর্থিক বিপর্যয় পরিস্থিতি থেকে মানুষের দৃষ্টি সরানোর চেষ্টা। শুক্রবার এমনই বললেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, এমন মনে হচ্ছে যেন এই প্রথম এমন কোনও মিশন হচ্ছে, যেন বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার আগে এমন কোনও মিশন হয়নি। এগুলো আসলে আর্থিক দুরবস্থা থেকে মানুষের মনকে অন্য দিকে ঘোরানোর চেষ্টা। মুখ্যমন্ত্রীর এই বক্তব্য নিয়ে ইতিমধ্যেই নানা মহলে হৈচৈ শুরু হয়েছে।
রাতেই ল্যান্ডার বিক্রম চাঁদের মাটিতে পা রাখতে চলেছে। ভারত এই প্রথমবার যে চাঁদে পা দেবে তাই নয়, চাঁদের এমন জায়গায় নামবে যেখানে আজ পর্যন্ত কোনও দেশ নামতে পারেনি। চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে নামতে চলেছে বিক্রম। এই অবস্থায় গোটা দেশ কার্যত এদিন চন্দ্রযান-২ মিশনের সাফল্যের দিকে চেয়ে আছে। টিভির পর্দায় বার বার ফুটে উঠছে এই অভিযানের খুঁটিনাটি।
মধ্যরাতে রাত দেড়টা থেকে আড়াইটের মধ্যে বিক্রম চাঁদে নামার কথা। রাতে সেই ইতিহাসের সাক্ষী থাকতে চলেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তিনি দেশের বিভিন্ন কোণা থেকে আসা ছাত্রছাত্রীদের সঙ্গে বসে এই ঘটনার সাক্ষী হবেন মধ্যরাতে। তিনি দেশবাসীকেও এই ঘটনার সাক্ষী থাকার পরামর্শ দিয়েছেন। বলেছেন যতটা পারবেন ছবি তুলে পাঠাবেন।