সারা বছরই তিনি রাজ্যে থাকেন। এখানে কাজে ব্যস্ত থাকেন। বাইরে যাওয়াই হয়না। তবে সাংবিধানিক দায়বদ্ধতা থাকে। তাই তিনি রুটিন ভিজিটে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে দিল্লি যাচ্ছেন। এটা একান্তই সৌজন্য সাক্ষাৎ। রাজ্যের বেশ কিছু টাকা পাওনা রয়েছে। তা এখনও আসেনি। সেসব টাকা চাইতেও তিনি যাচ্ছেন। মঙ্গলবার দিল্লি উড়ে যাওয়ার আগে এমনই জানালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন নবান্ন থেকে সোজা বিমানবন্দরে যান তিনি।
রাজ্যের দাবিদাওয়ার পাশাপাশি মুখ্যমন্ত্রী যে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাতে বিএসএনএল কর্মীদের মাইনের বিষয়টি তুলবেন তাও জানিয়েছেন তিনি। জানিয়েছেন কথা বলবেন ব্যাঙ্ক মার্জার নিয়ে। তাছাড়া এয়ার ইন্ডিয়ার বেসরকারিকরণ নিয়েও আলোচনা হবে। দিল্লি দেশের রাজধানী, তাই সেখানে যেতেই হয়। এদিন বলেন মুখ্যমন্ত্রী।
রাজ্যের নাম পরিবর্তনের জন্য অনেক দিন ধরেই লড়াই চালাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী। পশ্চিমবঙ্গ নামটা বদলে বাংলা নাম রাখার প্রস্তাবও বারবার পাঠানো হয়েছে দিল্লিতে। কিন্তু কোনও কাজ হয়নি। বুধবার প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাতে ফের তিনি বিষয়টি উত্থাপন করবেন বলে জানিয়ে যান মুখ্যমন্ত্রী। প্রসঙ্গত বাংলা, হিন্দি ও ইংরাজি এই ৩ ভাষাতেই পশ্চিমবঙ্গের নাম বাংলা লেখা হোক বলে প্রস্তাব স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকে আগেই পাঠিয়েছে রাজ্য সরকার।
যদিও মুখ্যমন্ত্রী দিল্লি যাওয়া নিয়ে অন্য কথা বলছে বিজেপি। রাজ্য বিজেপির কটাক্ষ আসলে সারদা মামলায় কলকাতার প্রাক্তন পুলিশ কমিশনার রাজীব কুমারের গ্রেফতারি এড়ানোর রাস্তা খুঁজতেই প্রধানমন্ত্রীর কাছে যাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী। বুধবার বিকেলে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রীর বৈঠক হওয়ার কথা।