কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের শান্তিনিকেতন এখন কেবল বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ই নয়, তা একটি চত্বরই নয়, তা রাজ্যের একটি অন্যতম পর্যটনস্থল। যেখানে সারা বছরই দেশ বিদেশের পর্যটকদের ভিড় লেগে থাকে। ঠিক তেমনই পশ্চিমবঙ্গে আরও একটি নতুন পর্যটনস্থলের জন্ম দিতে চাইছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের জন্মভিটে বীরসিংহ গ্রামকে তিনি ঢেলে সাজাতে চান। যা একটা পর্যটনস্থলের চেহারা নেবে। বহু মানুষ এখানেও আসবেন ঘুরে দেখতে। মঙ্গলবার বীরসিংহ গ্রামে বিদ্যাসাগরের জন্মভিটেতে হাজির হয়ে এমনই জানালেন মুখ্যমন্ত্রী। সেজন্য রাস্তাঘাট, আলোর বন্দোবস্ত সহ এলাকার সার্বিক পরিকাঠামো সাজিয়ে তোলার নির্দেশ দেন তিনি। বিদ্যাসাগরের বাড়িটিও আরও সাজানোর প্রস্তাব দেন তিনি।
মুখ্যমন্ত্রী এদিন বীরসিংহ গ্রামে বিদ্যাসাগরের মূর্তিতে মালা দিয়ে শ্রদ্ধা জানান। সকলকে বলেন বিদ্যাসাগরকে জানতে, চিনতে। প্রতিটি কলেজকে ২ লক্ষ টাকা করে দেওয়ার কথাও জানান মুখ্যমন্ত্রী যাতে তারা বিদ্যাসাগরের ওপর একটি করে সেমিনার আয়োজন করতে পারে। এছাড়া বিদ্যাসাগরের নামে একটি অ্যাকাডেমি গড়া হবে বলেও জানান মুখ্যমন্ত্রী। সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে অনুরোধ করেন তারা যেন আগামী ২৬ সেপ্টেম্বর ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের দ্বিশততম জন্মবার্ষিকীতে অন্য পড়া না করে স্কুলে বিদ্যাসাগরের ওপর আলোচনা, তাঁর কর্মকাণ্ড পড়ুয়াদের জানায়, বিদ্যাসাগরের সম্বন্ধে নানা অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
বিদ্যাসাগরের নামে একটি গবেষণা কেন্দ্র তৈরির নির্দেশ দেন মুখ্যমন্ত্রী। যেখানে বিদ্যাসাগরের ওপর গবেষণা হবে। এদিনও মুখ্যমন্ত্রী কথার ফাঁকে বিদ্যাসাগর কলেজে বিদ্যাসাগরের মূর্তি ভাঙার প্রসঙ্গ সামনে আনেন। তিনি বলেন, কিছু দুষ্কৃতি বিদ্যাসাগরের মূর্তি ভেঙে দিয়েছিল। কিন্তু বিদ্যাসাগরের মূর্তি ভেঙে বিদ্যাসাগরকে মুছে দেওয়া যায়না। এদিন বক্তব্যের ফাঁকে এনআরসি নিয়েও নিশ্চিন্ত থাকার পরামর্শ দেন মুখ্যমন্ত্রী। ফের একবার জানান, পশ্চিমবঙ্গে এনআরসি হবে না।