গত সোমবার যখন অর্থনীতিতে নোবেল পেতে চলা ত্রয়ীর নাম ঘোষণা করে রয়্যাল সুইডিশ অ্যাকাডেমি, তখন সেই ৩ জনের একজন ছিলেন বাঙালি অর্থনীতিবিদ অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর সঙ্গে নোবেল পাচ্ছেন তাঁর স্ত্রী এস্থার দুফলো। এছাড়া নোবেল পাচ্ছেন মেডিক্যাল অর্থনীতি নিয়ে কাজ করা মাইকেল ক্রেমার। অমর্ত্য সেনের পর দ্বিতীয় বাঙালি হিসাবে অর্থনীতিতে নোবেল। খুব স্বাভাবিকভাবেই বাঙালির বুকের ছাতি চওড়া হবে। হয়ও তাই। বাংলা তো বটেই এমনকি বিশ্বের কোণায় কোণায় ছড়িয়ে থাকা বাঙালির বুক গর্বে ফুলে ওঠে। অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়কে শুভেচ্ছা জানান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও। তারপর বুধবার মুখ্যমন্ত্রী সটান হাজির হন অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়িতে।
মন্ত্রিসভার এদিন বৈঠক ছিল। সেই বৈঠক সেরে বিকেল ৫টা নাগাদ অভিজিতবাবুর বাড়িতে পৌঁছন মুখ্যমন্ত্রী। সঙ্গে ছিলেন রাজ্যের তথ্য সংস্কৃতি মন্ত্রী ইন্দ্রনীল সেন ও স্বরাষ্ট্রসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়। অভিজিতবাবুর মা নির্মলা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাতে ফুল ও মিষ্টি তুলে দেন তিনি। একসঙ্গে সোফায় বসে বেশ কিছুক্ষণ কথাও বলেন। অভিজিতবাবু কলকাতায় এলে তাঁর সঙ্গে বাড়িতে এসে দেখা করার কথাও জানান মুখ্যমন্ত্রী।
এদিন অভিজিতবাবুর বাড়ি থেকে বার হওয়ার সময় মুখ্যমন্ত্রী অভিজিতবাবুর মাকে মাসিমা সম্বোধন করে বলেন, রাজ্যের কৃষির উন্নয়নে তিনি নির্মলাদেবীর উৎসাহ রয়েছে দেখেছেন। তিনি তাঁকে কৃষি সংক্রান্ত বিষয়ে যুক্ত করার জন্য স্বরাষ্ট্রসচিবকে বলেন। এদিকে এ মাসের শেষের দিকেই কলকাতায় আসার কথা রয়েছে অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়ের। কলকাতায় এলে তাঁকে রাজ্য সরকার বিশেষ সম্বর্ধনা দেবে।