মঙ্গলবার শিলিগুড়িতে প্রশাসনিক বৈঠক করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। উত্তরকন্যা-য় এই বৈঠক থেকে মুখ্যমন্ত্রী আশ্বাস দেন যে এ রাজ্যে কোনও ডিটেনশন ক্যাম্প হবে না। তিনি বলেন, রাজ্যের সব আধিকারিকরা এখানে রয়েছেন। তাঁদের সামনেই তিনি বলছেন এ রাজ্যে এনআরসি হবেনা। তাই ডিটেনশন ক্যাম্পেরও প্রশ্ন নেই। এ রাজ্যে অসম বা কর্ণাটকের মত ডিটেনশন ক্যাম্প তৈরি করা হবে না। প্রসঙ্গত অসমে নাগরিকপঞ্জীর চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশের পর সেখানে বিদেশি বলে চিহ্নিতদের ডিটেনশন ক্যাম্প গড়ে সেখানে রাখা হচ্ছে। সেই প্রসঙ্গ টেনেই এ রাজ্যে এনআরসি হচ্ছেনা বলে এদিন ফের একবার আশ্বস্ত করেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি আরও বলেন, অসমে ১৯৮৫-র অসম অ্যাকর্ড মেনে এনআরসি হয়েছে।
অসম অ্যাকর্ড ১৯৮৫ সালে স্বাক্ষরিত হয়। স্বাক্ষরিত হয় তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী রাজীব গান্ধী ও অল অসম গণ সংগ্রাম পরিষদ এবং অল অসম স্টুডেন্টস ইউনিয়নের মধ্যে। কারণ তার আগে ১৯৭৯ থেকে ১৯৮৫ সাল পর্যন্ত তাঁরা অসম জুড়ে লড়াই চালাচ্ছিলেন যাতে বেআইনিভাবে ভারতে প্রবেশ করা বাংলাদেশিদের চিহ্নিত করা হয়। মুখ্যমন্ত্রী এদিন ফের একবার ভরসার সুরে বলেন, তাঁর সরকার থাকতে এ রাজ্যে এনআরসি হবেনা।
এনআরসি প্রসঙ্গের পাশাপাশি এদিন আরও একটি বিষয়ে জোর দেন মুখ্যমন্ত্রী। বলেন, অনেক ক্ষেত্রে ১ জন ভোটার ২ জায়গায় ভোটার তালিকায় নাম তুলছেন। কেউ হয়তো অসমেও ভোটার আবার পশ্চিমবঙ্গেও ভোটার। এ বিষয়ে প্রশাসনিক আধিকারিকদের সতর্ক থাকতে পরামর্শ দেন তিনি। যাতে একজন ভোটার ২ জায়গায় ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে না পারেন।