জম্মু কাশ্মীরে কুলগামে তাঁদের অস্থায়ী ঠিকানা থেকে টেনে নিয়ে গিয়ে গুলি করে হত্যা করে জঙ্গিরা। ৫ জনকে গুলি করে শেষ করতে পারলেও ১ জন পালাতে গিয়ে আহত হন। পরে তাঁর মৃত্যু হয়। এই মানুষগুলো কুলগামে গিয়েছিলেন শ্রমিকের কাজ করে সংসারের জন্য কিছু অর্থ উপার্জন করতে। এঁরা প্রত্যেকেই মুর্শিদাবাদের বাসিন্দা। এঁদের মৃত্যুর খবর পৌঁছতেই পরিবারে কান্নার রোল পড়ে। গোটা গ্রাম শোকস্তব্ধ। মৃত্যুর যন্ত্রণা তো আছেই, সেইসঙ্গে তাঁরা বুঝতে পারছেন না আগামী দিনে পরিবারগুলো বাঁচবে কী করে। তাঁদের উপার্জনকারী তো মৃত!
এই অবস্থায় বুধবার পরিবারগুলির সঙ্গে দেখা করে তাঁদের পাশে থাকার বার্তা দিলেন সাংসদ খলিলুর রহমান। পরিবারগুলিকে সবরকম সাহায্যের আশ্বাস দিয়েছেন তিনি। মুর্শিদাবাদের ২টি গ্রাম ব্রাহ্মণী ও বহলনগর। এই ২টি গ্রাম থেকেই শ্রমিকের কাজে গিয়েছিলেন জঙ্গিদের গুলিতে মৃতরা। বহলনগর গ্রামের বাসিন্দা মুরসালিন শেখ, রফিক শেখ ও জাহুরুদ্দিন শেখ এবং ব্রাহ্মণী গ্রামের রফিকুল শেখ, কামারুদ্দিন শেখ ও নিজামুদ্দিন শেখ গিয়েছিলেন কুলগামে আপেল বাগানে কাজ করতে। সেখানে কাজের শেষে তাঁরা যখন তাঁদের অস্থায়ী ঠিকানায় বিশ্রাম নিচ্ছিলেন তখন জঙ্গিরা তাঁদের টেনে বার করে নিয়ে গিয়ে গুলি করে। কেবলমাত্র জাহুরুদ্দিন শেখ আহত অবস্থায় পালাতে পারেন। পরে তাঁর হাসপাতালে মৃত্যু হয়।
এই ঘটনায় এদিন মৃতদের পরিবারের সঙ্গে দেখা করেন সাংসদ তথা কংগ্রেসের সংসদীয় নেতা অধীর চৌধুরী। এদিকে গোটা ঘটনার তদন্ত চেয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি জানিয়েছেন জম্মু কাশ্মীরে এখন কোনও রাজনৈতিক কার্যকলাপ হচ্ছেনা। সেখানে আইন শৃঙ্খলা এখন পুরোপুরি কেন্দ্রীয় সরকারের হাতে। তখনই ৬ শ্রমিককে নৃশংসভাবে হত্যা করা হল। তদন্ত করে এর পিছনে আসল সত্য বার করে আনা হোক বলে দাবি করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি এও জানিয়েছেন মৃতদের পরিবার পিছু রাজ্য সরকার ৫ লক্ষ টাকা করে দেবে। এছাড়া তাঁদের সবরকম সাহায্যের আশ্বাস দিয়েছেন মমতা।