বুলবুলের দাপটে মৃত্যু ও ধ্বংসলীলার ভয়ংকর ছবি ছড়িয়ে আছে দক্ষিণ ২৪ পরগনার উপকূলীয় এলাকা জুড়ে। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে ধ্বংসের নতুন ছবি সামনে আসছে। যেমন এক ট্রলার চালকের দেহ এদিন নদীর চর থেকে পাওয়া গিয়েছে। অনেক মাছ ধরার ট্রলার তছনছ হয়ে গেছে। অসংখ্য কাঁচা বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত। চতুর্দিকে গাছ ভেঙে পড়ে আছে। সোমবার উত্তরবঙ্গ সফর বাতিল করে আকাশপথে বুলবুল বিধ্বস্ত এলাকা পরিদর্শন করেন মুখ্যমন্ত্রী। পরে কাকদ্বীপে একটি বৈঠক করেন। ত্রাণ নিয়ে বৈঠকে আলোচনা হয়।
মুখ্যমন্ত্রী এদিন বুলবুলে মৃত পরিবারের হাতে ২ লক্ষ টাকার ক্ষতিপূরণের চেক তুলে দেন। এছাড়া যাঁদের বাড়ি ভেঙেছে, ফসল নষ্ট হয়েছে তাঁদের ক্ষয় ক্ষতি খতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা করা হবে বলে আশ্বাস দেন। বুলবুলে এ জেলায় প্রচুর পানের বরজ নষ্ট হয়ে গেছে। অগ্রহায়ণে পাকা ধান তোলার আগে মাঠ ভরা পাকা ধানের ব্যাপক ক্ষতি করেছে বুলবুল।
বুলবুলের তাণ্ডবে মৃতের সংখ্যা বেড়েছে। এদিনও একটি দেহ উদ্ধার হয়েছে। ধ্বংসস্তূপ সরিয়ে মানুষকে স্বাভাবিক জীবনে ফেরত আনার যাবতীয় চেষ্টা চলছে। রোদ উঠেছে। ফলে উদ্ধারকাজ এগোচ্ছে দ্রুত। তবে যেভাবে কিছু জায়গায় বুলবুল ধ্বংসলীলা চালিয়েছে তাতে সুন্দরবনের বাসিন্দাদের আয়লার কথা ফের মনে পড়েছে। প্রশাসনের তরফে দুর্গত মানুষজনকে পাশে থাকার আশ্বাস দেওয়া হয়েছে।