গত সোমবার হেলিকপ্টারে বুলবুল বিধ্বস্ত দক্ষিণ ২৪ পরগনার বিস্তীর্ণ এলাকা ঘুরে দেখেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আকাশপথে পরিদর্শনের পর তিনি কাকদ্বীপে প্রশাসনিক কর্তাদের সঙ্গে ত্রাণ বিলি নিয়ে বৈঠকও করেন। হাজির হন বুলবুল বিধ্বস্ত গ্রামে। সেখানে মৃতদের ক্ষতিপূরণ সহ ঝড়ে বিধ্বস্ত পরিবারগুলিকে পাশে থাকার বার্তা দেন। এরপর বুধবার তিনি হাজির হলেন উত্তর ২৪ পরগনার বসিরহাটের বুলবুল বিধ্বস্ত এলাকা পরিদর্শনে।
বুধবারও হেলিকপ্টারে বসিরহাট সহ আশপাশের এলাকা আকাশপথে ঘুরে দেখেন মুখ্যমন্ত্রী। পরে সেখানে একটি প্রশাসনিক বৈঠক করেন। সেখানেও ত্রাণ নিয়ে আলোচনা করেন মুখ্যমন্ত্রী। এদিন তিনি পরিস্কার করে দেন ত্রাণ দেওয়া নিয়ে যেন কোনও ভেদাভেদ না হয়। কোনও দলের রঙ দেখে যেন ত্রাণ বিলি না হয়। প্রাকৃতিক দুর্যোগে বিধ্বস্ত সকলেই সমস্যায়। তাঁদের সকলের পাশে দাঁড়ানোর নির্দেশ দেন মুখ্যমন্ত্রী।
গত শনিবার রাতে পশ্চিমবঙ্গের উপকূলীয় এলাকা দিয়ে বয়ে যায় প্রবল ঘূর্ণিঝড় বুলবুল। ঘণ্টায় ১২০ কিলোমিটার ছিল ঝড়ের গতি। সঙ্গে ছিল প্রবল বৃষ্টি। বুলবুলের দাপটে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে রাজ্যের ৩টি জেলা। উত্তর ২৪ পরগনা, দক্ষিণ ২৪ পরগনা ও পূর্ব মেদিনীপুর। মৃত্যু হয়েছে ১৩ জনের। বহু বাড়ি ধসে পড়েছে। অগুন্তি গাছ উপড়ে গেছে। বহু এলাকা বিদ্যুৎহীন হয়ে পড়ে। ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।