রাজ্যে ৩ বিধানসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচনের ৩টিতেই ধরাশায়ী হয়েছে গেরুয়া শিবির। বিজেপির জেতা আসনও হাতছাড়া হয়েছে। কালিয়াগঞ্জ, করিমপুর ও খড়গপুর সদর কেন্দ্রে হেরে গেছে বিজেপি। ৩ কেন্দ্রেই জয়ী হয়েছে তৃণমূল। যারমধ্যে ২টি কেন্দ্র কালিয়াগঞ্জ ও খড়গপুর সদরে এই প্রথম জয়ের মুখ দেখল জোড়াফুল। এই দুরন্ত জয়ের পর প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, বিজেপির অতিরিক্ত ঔদ্ধত্যের বিরুদ্ধে ভোট দিয়েছেন সাধারণ মানুষ। তাদের ঔদ্ধত্য নাকচ করে দিয়েছেন তাঁরা।
মুখ্যমন্ত্রী এদিন বলেন, বিজেপি এনআরসি করার ভয় দেখাচ্ছে। নাগরিকদের হটিয়ে দিতে চাইছে। অন্যায়ভাবে তাঁদের অধিকার হরণ করতে চাইছে। বহুদিন ধরে মানুষগুলো এখানে বসবাস করছেন। মুখ্যমন্ত্রী ৩ কেন্দ্রে জয়ের পর বলেন, তিনি নিজে এই ৩ কেন্দ্রে যাবেন। সেখানকার মানুষের কাছে গিয়ে তাঁদের এভাবে তৃণমূলকে জেতানোর জন্য ধন্যবাদ জানিয়ে আসবেন। এদিন বিজেপিকে চাঁচাছোলা ভাষায় আক্রমণ করে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, সকলেই এখানকার বাসিন্দা। এখানকার ভোটার। বিজেপি তাঁদের মধ্যে ভেদাভেদ তৈরি করতে, তাঁদের যন্ত্রণা দিতে নতুন খেলা শুরু করেছে। তবে তা কাজ করেনি।
মুখ্যমন্ত্রী এদিন দাবি করেন শেষ কয়েকমাসে বিজেপির ঔদ্ধত্য সাধারণ মানুষ দেখেছেন। বিজেপি ন্যূনতম সম্মানটুকু মানুষকে দেখাচ্ছে না। তারই জবাব দিয়েছেন জনতা। মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন, বিভিন্ন রাজ্য থেকে বাংলায় কথা বলা মানুষজনকে হঠানো হচ্ছে। তাঁরা রাজ্যে ফিরে আসছেন। এদিন সিপিএম-কংগ্রেস জোটকেও বিঁধেছেন মমতা। তিনি বলেন, সিপিএম-কংগ্রেস এ রাজ্যে বিজেপির সঙ্গে যোগাযোগ রাখছে। কিন্তু তাদের বোঝা উচিত বিজেপির সঙ্গে থেকে তাদের কোনও লাভ হবেনা। মুখ্যমন্ত্রীর অভিযোগ, তৃণমূল জাতীয় স্তরে কংগ্রেসকে সমর্থন দিচ্ছে। অথচ কংগ্রেস এ রাজ্যে বিজেপির সঙ্গে থাকছে। এটা দুঃখজনক।