নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের প্রতিবাদে অসম জ্বলছে। উত্তরপূর্বের রাজ্যগুলির অবস্থা খুব একটা সুবিধের নয়। সেখানেও আন্দোলন চরমে। ফলে অনেক জায়গায় কার্ফু জারি হয়েছে। গত বৃহস্পতিবার পর্যন্ত সেই আন্দোলনের আঁচ এ রাজ্যে পড়েনি। কিন্তু শুক্রবার মুর্শিদাবাদের বেলডাঙায় ট্রেন স্টেশনে ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ, ট্রেন লাইনে আগুন ধরিয়ে প্রতিবাদের যে ছবি উঠে এসেছে তাতে এ রাজ্যেও অশান্তি শুরু হয়ে যায়। একইসঙ্গে উলুবেড়িয়া স্টেশনে পাথরবৃষ্টি, ট্রেন ভাঙচুর, কেবিন ভাঙচুর, আগুন লাগানোর ঘটনায় আতঙ্ক ছড়ায়। জাতীয় সড়ক অবরোধ করা হয়। যার জেরে চরম ভোগান্তি ও আতঙ্কের শিকার হন আমজনতা। সেই ঘটনার পর শনিবারও মুর্শিদাবাদ সহ রাজ্যের বিভিন্ন কোণায় অশান্তি হয়। ট্রেন অবরোধ, রাস্তা অবরোধের ঘটনা গটে। এরপরই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়ে দেন আন্দোলনের নামে কোনও হাঙ্গামা বরদাস্ত করা হবে না।
মুখ্যমন্ত্রী গত শুক্রবারই গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে আন্দোলন করার পরামর্শ দিয়েছিলেন। রাজ্যপালও শান্তি বজায় রাখার আবেদন জানান। তারপরও অশান্তি অব্যাহত ছিল। ফলে শনিবার কিন্তু মুখ্যমন্ত্রী কড়া বার্তা দিলেন। তিনি সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, আন্দোলন করতে হলে গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে করতে হবে। যাঁরা রাস্তা অবরোধ করছেন, ট্রেন অবরোধ করছেন, আইন হাতে তুলে নিচ্ছেন, সাধারণ মানুষের হয়রানি করছেন তাঁদের তিনি কোনও মতেই ছেড়ে দেবেন না। আইনানুগ তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
রাজ্যে নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন নিয়ে অশান্তির ঘটনা ঘটায় রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে তোপ দেগেছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি তথা সাংসদ দিলীপ ঘোষ। তিনি এদিন উত্তরবঙ্গে দাবি করেন, যখন বিজেপি কোনও আন্দোলন করে তখন পুলিশ দ্রুত ব্যবস্থা নেয়। অথচ যখন রাজ্যে এমন হিংসাত্মক আন্দোলন হচ্ছে তখন রাজ্য সরকার কিছুই করতে পারছেনা। সামলাতে না পারলে মুখ্যমন্ত্রীর পদত্যাগ করার দাবি তোলেন তিনি।