নয়া নাগরিকত্ব বিলের প্রতিবাদে, এনআরসি-র প্রতিবাদে রাস্তায় নেমে বিক্ষোভে সামিল হয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। গত সোমবার তিনি পদযাত্রা করেন আম্বেদকরের মূর্তির পাদদেশ থেকে জোড়াসাঁকো পর্যন্ত। মঙ্গলবার শহরের অন্যপ্রান্ত যাদবপুরের ৮বি বাসস্ট্যান্ড থেকে তিনি মিছিল করলেন যদুবাবু বাজার পর্যন্ত। এদিনও মিছিলের শুরু ও শেষে বক্তব্য রাখেন মুখ্যমন্ত্রী। সাফ জানান বাংলায় তিনি নাগরিকত্ব আইন কার্যকর হতে দেবেন না। কাউকে রাজ্য থেকে বার করা চলবে না। জামিয়া মিলিয়া বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে ঢুকে ছাত্রদের ওপর পুলিশি জুলুমের অভিযোগে উত্তাল গোটা দেশের ছাত্রসমাজ। এদিন মঞ্চ থেকে ছাত্রদের পাশে দাঁড়িয়ে এই ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ করেন মুখ্যমন্ত্রী।
প্রথম পদযাত্রায় সোমবার যে খেলোয়াড়, অভিনেতাদের দেখা গিয়েছিল হাঁটতে, এদিনও তাঁদের দেখা মিলল। সঙ্গে যুক্ত হলেন বসিরহাটের তৃণমূল সাংসদ নুসরত জাহান ও যাদবপুরের তৃণমূল সাংসদ মিমি চক্রবর্তী। এঁরাও এদিন ৮বি বাসস্ট্যান্ড থেকে পা মেলান মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে। সেইসঙ্গে বহু তৃণমূল কর্মী সমর্থক মিছিলে সামিল হন। কার্যত জনসমুদ্রের চেহারা নেয় মিছিল। বেলা ১টার পর শুরু হয়ে মিছিল শেষ হয় প্রায় দুপুর আড়াইটেয়।
নাগরিকত্ব বিলের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাতে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে ট্রেনে অগ্নি সংযোগ, স্টেশনে পাথরবৃষ্টি, স্টেশন ভাঙচুর, ট্রেনে পাথর ছোঁড়া, ট্রেন অবরোধের মত ঘটনা ঘটেছে। যারপরে বেশ কিছু ট্রেন বাতিল করেছে রেল কর্তৃপক্ষ। এদিন সেই প্রসঙ্গে টেনেও কেন্দ্রকে দুষেছেন মুখ্যমন্ত্রী। মুখ্যমন্ত্রীর দাবি ২টো ছোট ঘটনা ঘটেছে রাজ্যে। আর তার জেরে অনেক ট্রেন বন্ধ করে দিয়েছে কেন্দ্র। তিনি কেন্দ্রের কাছে ফের ট্রেন চালু করে দেওয়ার আর্জি জানাবেন বলেও এদিন আশ্বস্ত করেন মুখ্যমন্ত্রী।
মঙ্গলবার যদুবাবু বাজারের মঞ্চ থেকে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, সংসদে সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে নাগরিকত্ব আইন পাশ করিয়েছে কেন্দ্র। কিন্তু এতে জনসমর্থন নেই। তাই এই আইন বাতিলের দাবি তোলেন তিনি। মুখ্যমন্ত্রী এদিনও সকলকে হিংসা থেকে দূরে থেকে গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে যতদিন না সিএএ বাতিল হচ্ছে ততদিন আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার আহ্বান জানান। বুধবার ফের রাস্তায় নামছেন মুখ্যমন্ত্রী। হাওড়া ময়দান থেকে পদযাত্রা করবেন তিনি। পদযাত্রা শেষ হবে ধর্মতলার ডোরিনা ক্রসিংয়ে।