সোমবার পদযাত্রা হয়েছিল বি আর আম্বেদকরের মূর্তির পাদদেশ থেকে জোড়াসাঁকো পর্যন্ত। মঙ্গলবার যাদবপুরের ৮বি বাসস্ট্যান্ড থেকে যদুবাবু বাজার পর্যন্ত। বুধবার মিছিল হল হাওড়া ময়দান থেকে ধর্মতলার ডোরিনা ক্রসিং পর্যন্ত। সবই ছিল পূর্ব ঘোষিত। প্রতিটি মিছিলের নেতৃত্ব দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নয়া নাগরিকত্ব আইন ও এনআরসি-র প্রতিবাদে পরপর ৩ দিন মিছিল হল। আগামী ২৪ ডিসেম্বরও বিশাল মিছিল অনুষ্ঠিত হবে। তবে তা কোথা থেকে কোথা পর্যন্ত হবে তা মুখ্যমন্ত্রী জানাননি। তবে মিছিল যে হবে এটা নিশ্চিত করে দিয়েছেন। এছাড়া বৃহস্পতিবার মিছিল না হলেও ছাত্র, যুবদের নিয়ে রানি রাসমণি অ্যাভিনিউতে সভা হবে। সেখানে বিকেলে বক্তব্য রাখবেন মুখ্যমন্ত্রী।
শুক্রবার পার্ক সার্কাস ময়দানে সভা করবেন তিনি। বিকেল ৩টেয় সেখানে বক্তব্য রাখবেন মুখ্যমন্ত্রী। বুধবার ডোরিনা ক্রসিংয়ে বক্তব্য রাখতে গিয়েই একথা ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী। আগামী শনি ও রবিবারের কর্মসূচি শুক্রবার তিনি ঘোষণা করবেন বলে জানিয়েছেন। সেইসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী এদিন সকলকে বলেছেন নাগরিকত্ব আইন ও এনআরসি-র বিরুদ্ধে মিছিলে এবার থেকে শাঁখ, ঘণ্টা সহ যা আছে সঙ্গে আনতে। সেগুলি বাজাতে বাজাতে মিছিলে পা মেলাতে। সঙ্গে চলবে উলুও।
বুধবার হাওড়া ময়দান থেকে ধর্মতলার ডোরিনা ক্রসিং পর্যন্ত পদযাত্রা করেন মুখ্যমন্ত্রী। নাগরিকত্ব আইন ও এনআরসি-র বিরুদ্ধে সুর চড়িয়ে মিছিলে অংশ নেন বহু মানুষ। ছিলেন হাওড়ায় তৃণমূলের সাংসদ, বিধায়ক নেতা কর্মীরাও। এদিনও জনসমুদ্র দেখা গেছে। মানুষের ভিড় নজর কেড়েছে। পায়ে পা মিলিয়ে সকলে সামিল হয়েছেন মিছিলে। রাস্তার দুধারেও বহু মানুষকে ভিড় করে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা গেছে।
ডোরিনা ক্রসিংয়ে মিছিল পৌঁছনোর পর সেখানে তৈরি মঞ্চ থেকে মুখ্যমন্ত্রী এদিন সরাসরি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে তোপ দাগেন। অমিত শাহ কীভাবে বলেন যে আধার কার্ড নাগরিকত্বের প্রমাণ নয়? প্রশ্ন তুলে সোচ্চার হন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, যদি আধার কার্ড নাগরিকত্বের প্রমাণ নয়, তবে কেন তা সংযুক্তিকরণ করা হচ্ছে। মুখ্যমন্ত্রী এদিনও বলেন, এ রাজ্যে সিএএ বা এনআরসি হবে না। দিল্লি, মধ্যপ্রদেশ সহ যেসব রাজ্য এর বিরুদ্ধে গিয়েছে তাদের ধন্যবাদ জানান তিনি।