সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন ও এনআরসি-র প্রতিবাদে গত সোমবার থেকেই পথে নেমেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রতিদিনই থাকছে কর্মসূচি। মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েও দিয়েছেন তাঁদের এই আন্দোলন চলবে। দলের তরফে তাঁর কর্মসূচি শুক্রবার ফের একবার ঘোষণা করলেন মুখ্যমন্ত্রী। জানিয়ে দিলেন আগামী দিনগুলোতে কবে কীভাবে বিক্ষোভ আন্দোলন হবে। শুক্রবার পার্ক সার্কাসে রয়েছে জনসভা। এরপর শনি ও রবিবার আগামী কর্মসূচির জন্য প্রস্তুতি। ফলে ওই ২ দিন কোনও কর্মসূচি থাকছে না।
আগামী সোমবার কলকাতা ছাড়া সারা পশ্চিমবঙ্গ জুড়ে সিএএ ও এনআরসি-র বিরুদ্ধে মিছিল-মিটিং করবে তৃণমূল কংগ্রেস। তার পরদিন মঙ্গলবার সিমলা স্ট্রিটে স্বামীজির বাড়ির সামনে থেকে মিছিল শুরু হবে। মিছিল শেষ হবে বেলেঘাটায় গান্ধী ভবনের সামনে। ২৫ ডিসেম্বর বড়দিন। ওইদিন কোনও কর্মসূচি থাকছে না। ২৬ তারিখ তৃণমূল ট্রেড ইউনিয়নের তরফে দমদম ও কামারহাটিতে মিছিল হবে। ২৭ তারিখ তৃণমূলের ক্ষেত মজদুর কিষাণ ইউনিট সিঙ্গুর থেকে তারকেশ্বর পর্যন্ত মিছিল করবে। ২৮ ও ২৯ তারিখ ফের রাজ্য জুড়ে প্রতিবাদ ধর্না।
১ জানুয়ারি তৃণমূল কংগ্রেসের প্রতিষ্ঠা দিবস। ওই দিনটির জন্য প্রস্তুতিতে ব্যস্ত থাকবেন তৃণমূল নেতা কর্মীরা। তাই ৩০ ও ৩১ কোনও কর্মসূচি নেই। ১ জানুয়ারি ২০২০-তে তৃণমূলের প্রতিষ্ঠা দিবসে পালিত হবে নাগরিক অধিকার দিবস। রাজ্যের সমস্ত বুথ স্তরে এই দিনটি পালিত হবে। এছাড়াও রাজারহাটে তৃণমূলের মহিলা ইউনিট মিছিল করবে। এদিন ১ জানুয়ারি পর্যন্ত এভাবেই সিএএ ও এনআরসি বিরোধী বিক্ষোভ আন্দোলনের তার বেঁধে দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
তৃণমূল নেত্রী হিসাবে এদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তৃণমূল ভবনে সাংবাদিক বৈঠক করে তাঁর দলের বিস্তারিত কর্মসূচি তুলে ধরেন। এখান থেকেই তিনি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে অনুরোধ করেন তিনি যেন নিজে উদ্যোগ নিয়ে সিএএ ও এনআরসি বাতি করেন। দেশের মানুষ চাইছেন না। সেটা মাথায় রেখে এই পদক্ষেপ করা উচিত প্রধানমন্ত্রীর।
তাঁর গণভোটের দাবি নিয়ে চর্চাতেও এদিন কিছুটা জল ঢালেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি এদিন পরিস্কার করে দেন দেশের সব মানুষকে নিয়ে ভোট তিনি বলেননি। তিনি বলেন বিষয়টিতে রাষ্ট্রপুঞ্জ নজর দিক। হিউম্যান রাইটস সংগঠনগুলি এগিয়ে আসুক। তাঁদের মধ্যে ভোটাভুটি হোক। এদিন তৃণমূল ভবনে সাংবাদিক বৈঠক করার পর সেখান থেকেই তিনি চলে যান পার্ক সার্কাস ময়দানে। সেখানে সিএএ ও এনআরসি বিরোধী একটি প্রতিবাদ সভায় বক্তব্য রাখেন মমতা। মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন কবি জয় গোস্বামী, গায়ক প্রতুল মুখোপাধ্যায়, লেখক আবুল বাশার, চিত্রকর শুভাপ্রসন্ন সহ নাগরিক সমাজের অনেকে।