বিরোধীদের নিশানা করতে পাকিস্তান প্রসঙ্গ টেনেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এমনকি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে পাকিস্তানের ভাষায় কথা বলছেন বলেও তোপ দাগেন। পাকিস্তান থেকে ভারতে পালিয়ে আসা হিন্দুদের বিরুদ্ধে বিরোধীরা সুর চড়াচ্ছেন বলেও কটাক্ষ শোনা গেছে প্রধানমন্ত্রীর গলায়। এবার সেই পাকিস্তান প্রসঙ্গ টেনে পাল্টা দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শিলিগুড়ির মঞ্চ থেকে শুক্রবার মুখ্যমন্ত্রী প্রশ্ন তোলেন প্রধানমন্ত্রী কী পাকিস্তানের রাষ্ট্রদূত, যে সব সময় পাকিস্তানের নাম সামনে আনেন? কেন পাকিস্তানের সঙ্গে হিন্দুস্তানের তুলনা টানা হচ্ছে? তাঁরা পাকিস্তানের কথা শুনতে চান না। কেন প্রধানমন্ত্রী ভুটান, নেপালের কথা বলেন না? শুধু পাকিস্তান পাকিস্তান কেন? সুর চড়ান মমতা।
সিএএ, এনআরসি ও এনপিআর-এর বিরুদ্ধে এদিন শিলিগুড়িতে পথে নামেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানেই মিছিল শুরুর আগে মঞ্চ থেকে তিনি সকলকে শপথবাক্য পাঠ করান। ফের একবার জানিয়ে দেন এ রাজ্যে সিএএ, এনআরসি করতে দেবেন না। সেইসঙ্গে দাবি করেন যখনই খাবার দেওয়ার, চাকরি দেওয়ার প্রশ্ন সামনে আসছে, দেশের অর্থনীতি নিয়ে প্রশ্ন উঠছে, তখনই প্রসঙ্গ ঘোরাতে বিজেপি পাকিস্তানের কথা সামনে নিয়ে আসে।
শুক্রবার শিলিগুড়িতে এনআরসি, সিএএ বিরোধী মিছিল করেন মুখ্যমন্ত্রী। শিলিগুড়ির এই মহামিছিল একসময় জনসমুদ্রের চেহারা নিয়েছিল। গত লোকসভা ভোটে কিন্তু উত্তরবঙ্গে তেমন ভোট পায়নি তৃণমূল। বরং উত্তরবঙ্গে অনেক বেশি সফল বিজেপি। তারপরেও এদিন শিলিগুড়িতে যে মানুষের ঢল নামল তা কিন্তু অবশেষে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে স্বস্তি দিয়ে থাকতে পারে। হারানো জমি ফিরে পাওয়ার একটা সম্ভাবনাও বোধহয় দেখতে পেলেন মুখ্যমন্ত্রী।