আপাতত একলা চলো রে নীতিতেই কী তবে আগামী দিনে সিএএ, এনআরসি, এনপিএর-এর বিরোধিতা চালিয়ে যাবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়? এটাই এখন লাখ টাকার প্রশ্ন। কারণ লোকসভা নির্বাচনের আগে যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিজেপি বিরোধীদের এক ছাদের তলায় আনতে কঠিন পরিশ্রম করেন, প্রতিটি আঞ্চলিক নেতার সঙ্গে আলাদা করে দেখা করে তাঁদের বুঝিয়ে একজোট করেন। সেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আগামী ১৩ জানুয়ারি দিল্লিতে কংগ্রেসের ডাকে বিরোধীদের বৈঠকে যাচ্ছেন না। একে বিরোধী ঐক্যে ভাঙন হিসাবেই দেখছে বিজেপি। যা গেরুয়া শিবিরকে কিছুটা হলেও স্বস্তি দিয়েছে।
গত বুধবারে সিএএ, এনআরসি, এনপিআর-এর বিরুদ্ধে বাম-কংগ্রেসের বন্ধ নিয়ে তিনি যে ক্ষুব্ধ তা আগেই পরিস্কার করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। তৃণমূলের তরফেই প্রশ্ন উঠেছে বাম-কংগ্রেস ঠিক করুক কারা তাদের প্রতিদ্বন্দ্বী শক্তি! তৃণমূল না বিজেপি! এই অবস্থায় কংগ্রেসের কর্মসমিতি ১৩ জানুয়ারি দিল্লিতে সিএএ, এনআরসি, এনপিআর বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলির বৈঠক ডেকেছে। যা কার্যত বিজেপিকে ফের একবার বিরোধীদের একজোট শক্তি দেখানোর জায়গা হতেই পারত। কিন্তু সেখানেই অনুপস্থিত থাকছে তৃণমূল।
তৃণমূল ছাড়াও ওই বৈঠকে না দেখা যেতে পারে মায়াবতীর বহুজন সমাজ পার্টিকে। কংগ্রেস অবশ্য মহারাষ্ট্রের জোট সরকারের হাত ধরে লোকসভায় ১৮টি আসন থাকা শিবসেনা-কে পাশে পাওয়ার আশা দেখছে। তবে শিবসেনা কিন্তু এখনও পরিস্কার করেনি যে তারা এই বৈঠকে থাকবে কিনা। শিবসেনা এখনও একটা ধরি মাছ না ছুঁই পানি অবস্থান কংগ্রেসের সঙ্গে ধরে রেখেছে। এখন দেখার ১৩ জানুয়ারি ঠিক কী হয়। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা