নৈহাটিতে বাজি নিষ্ক্রিয় করতে গিয়ে এদিন পুলিশও হয়তো বুঝল না কী হল! যে কোনও যুদ্ধে কোথাও বড়সড় বোমা পড়লে যে চিত্র উঠে আসে, বাজেয়াপ্ত বাজির মশলা নিষ্ক্রিয় করতে গিয়ে একদম হুবহু সেই ছবি উঠে এল। নৈহাটিতে গঙ্গার পাড়ে যে বিস্ফোরণ এদিন হয় তাতে ওপারের চুঁচুড়ার মানুষের বাড়িঘর চুরমার হয়ে যায়। আশপাশের এলাকার মানুষের কথা তো বলে বোঝানোর নয়। পুলিশের কাণ্ডজ্ঞান নিয়েই প্রশ্ন তুলে দিয়েছেন তাঁরা। এদিন বিস্ফোরণের পর প্রাথমিক আতঙ্ক কাটিয়ে ক্ষোভে ফেটে পড়েন এলাকার মানুষ। পুলিশের গাড়িতে আগুনও দেওয়া হয়।
অনেক বাড়িরই টালির চাল বা অ্যাসবেস্টসের চাল ভেঙে পড়েছে। জানালার কাচ ভেঙে তছনছ হয়ে গেছে। বাড়িতে বড়বড় ফাটল ধরেছে। আশপাশে অনেক এমন বাড়ির বাসিন্দারা প্রাণভয়ে আতঙ্কিত। কান্নার রোল পড়ে যায় ঘরে ঘরে। অনেকের বাড়ির একটা বড় অংশই ভেঙেছে। সকলেরই দাবি, এখানে গত কয়েকদিন ধরেই বাজি নিষ্ক্রিয় করতে পুলিশ বাজি পোড়াচ্ছিল। কিন্তু সে আওয়াজ এদিনের ধারেকাছেও আসেনা।
বিস্ফোরণের পর বিস্তীর্ণ এলাকা থরথর করে কেঁপে ওঠে। বহু মানুষ ভয়ে বাড়ি ছেড়ে বেরিয়ে আসেন। এদিনই সিএএ, এনআরসি, এনপিআর-এর বিরুদ্ধে মধ্যমগ্রাম থেকে বারাসত মিছিল করেন মুখ্যমন্ত্রী। বারাসতে একটি যাত্রা উৎসবের সূচনাও করে যান। সেখানেই তিনি মঞ্চ থেকে বলেন, তিনি শুনেছেন এমন একটা ঘটনা ঘটেছে। তিনি বলেন, পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখতে স্থানীয় বিধায়ককে ঘটনাস্থলে পাঠিয়েছেন তিনি। তাছাড়া যাঁদের এই বিস্ফোরণে যা ক্ষতি হয়েছে তা পূরণ করার জন্য জেলাশাসককে নির্দেশ দেন।