২ দিনের সফরে শনিবার বিকেলে কলকাতায় এসে পৌঁছন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। প্রথমেই তিনি রাজভবনে হাজির হন। সেখানে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে তাঁর ১৫ মিনিটের একটি বৈঠক হয়। রাজভবন থেকে বেরিয়ে মুখ্যমন্ত্রী হাজির হন ধর্মতলায় তৃণমূল ছাত্র পরিষদের ধর্নামঞ্চে। সেখানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী জানান, তিনি কিছুক্ষণ আগেই প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলেছেন। তিনি প্রধানমন্ত্রীকে জানিয়ে এসেছেন তিনি এনআরসি, সিএএ, এনপিআর মানছেন না। এ রাজ্যে তা লাগু হবেনা। এদিনও তিনি পরিস্কার করে দেন, এ রাজ্যে তিনি বেঁচে থাকতে এনআরসি, সিএএ, এনপিআর হতে দেবেন না।
মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর বৈঠক নিয়ে যোগসাজশের অভিযোগ করে বাম ও কংগ্রেস। নাম না করে এদিন ধর্নামঞ্চ থেকে রাজ্যের এই ২ বিরোধী দলকেও দুষেছেন মুখ্যমন্ত্রী। ছাড় পায়নি বিজেপিও। তিনি বলেন, এখানে বিজেপি মাদুলি পরে ঘোরে আর কেউ কেউ বাস পুড়িয়ে বিক্ষোভ দেখায়। হিংসাত্মক আন্দোলন তিনি মানবেন না বলে ফের জানিয়ে দেন মুখ্যমন্ত্রী। বরং রাস্তায় নেমে শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভের পরামর্শ দেন তিনি।
ধর্নামঞ্চ থেকেই এদিন মুখ্যমন্ত্রী জানান সিএএ নিয়ে কেন্দ্র গত শুক্রবার একতরফা নোটিফিকেশন জারি করেছে। তা এরাজ্যে লাগু হবেনা। নোটিফিকেশনের কপি কালি দিয়ে কেটে এদিন ধর্নামঞ্চেই প্রতিবাদ জানাচ্ছিলেন টিএমসিপি সদস্যরা। মুখ্যমন্ত্রী একটি ব্ল্যাকবোর্ডের ওপর সিএএ, এনআরসি, এনপিআর লিখে তা কেটে দেন। তারপর ৩টিতে গোল করে দেন। জানিয়ে দেন এই ৩টিই এ রাজ্যে লাগু হবেনা। তুলে ধরেন নোটিফিকেশনের ক্রস করা কপি।