করোনা থেকে বাঁচতে ভিড়ে না যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। এই পরামর্শ দিচ্ছে কেন্দ্রও। এবার সরকারি কর্মচারিদেরও যাতে বেশি ভিড়ে পড়তে না হয় সেদিকে নজর দিলেন মুখ্যমন্ত্রী। মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, যাঁদের ১০ থেকে সাড়ে ৫টা পর্যন্ত অফিস তাঁদের সময় কমিয়ে ৪টে করে দেওয়া হচ্ছে। যাতে তাঁরা একটু ফাঁকায় ফাঁকায় বাড়ি ফিরে যেতে পারেন।
যাঁদের শিফটে কাজ করতে হয় তাঁদের বিষয়টিও দেখা হবে বলে জানিয়েছেন তিনি। সব মিলিয়ে মুখ্যমন্ত্রী কিন্তু এবার সরকারি কর্মচারিদের অফিস যাওয়া কমানোর রাস্তায় হাঁটলেন। মুখ্যমন্ত্রী এও জানিয়েছেন যদি কোনও কর্মচারি অসুস্থ হন তাহলে তিনি অনলাইনে ছুটির জন্য আবেদন করতে পারেন। সেক্ষেত্রে সরকার তা মানবিকতার সঙ্গে বিবেচনা করবে।
রাজ্যে গত মঙ্গলবারই প্রথম এক করোনা আক্রান্তের খোঁজ মিলেছে। নবান্নের এক আমলার ছেলের দেহেই রয়েছে করোনা ভাইরাস। তিনি গত রবিবার লন্ডন থেকে ফেরার পরই তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি হতে বলা হলেও তিনি ভর্তি হননি বলে অভিযোগ। একজন সরকারি আমলা ওই তরুণের মা। তিনি নবান্নেই অফিসও করেন সোম ও মঙ্গলবার। এখানেই বিভিন্ন মহল থেকে সচেতনতার প্রশ্ন সামনে আসছে। একজন এতটা উচ্চপদস্থ মানুষ হয়েও তিনি কীভাবে তাঁর ছেলেকে এভাবে সর্বত্রে ঘুরতে দিলেন তা নিয়ে প্রশ্নের মুখ পরিবার। আপাতত বেলেঘাটা আইডি-তে ভর্তি ওই তরুণ। তাঁর বাবা-মায়েরও পরীক্ষা হচ্ছে।