বিদেশ থেকে ফিরে স্বেচ্ছায় না গেলে জোর করে কোয়ারেন্টিন
শুক্রবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সাফ জানিয়েছেন বিদেশ থেকে ফিরলে সকলকেই হোম কোয়ারেন্টিনে ১৪ দিনের জন্য থাকতে হবে।

বিদেশ থেকে পশ্চিমবঙ্গে প্রতিদিন অনেক মানুষ এসে চলেছেন। তাঁদেরই ২ জনের দেহে করোনা পাওয়া গিয়েছে। ২ জনই ইংল্যান্ড থেকে ফিরেছেন। দেশে ফেরার পরও স্বেচ্ছায় বাড়িতে নিজেকে গৃহবন্দি না করায় রাজ্যে প্রথম পাওয়া করোনা আক্রান্তকে নিয়ে বিস্তর সমালোচনা হয়েছে। ওই তরুণ বিদেশ থেকে ফিরে ঘুরেছেন শহরের বিভিন্ন জায়গায়। এই অবস্থায় শুক্রবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সাফ জানিয়েছেন বিদেশ থেকে ফিরলে সকলকেই হোম কোয়ারেন্টিনে ১৪ দিনের জন্য থাকতে হবে। যদি কেউ এটা অগ্রাহ্য করেন তাহলে প্রয়োজনে তাঁকে জোর করেই কোয়ারেন্টিনে রাখা হবে।
মুখ্যমন্ত্রীর এই ঘোষণার হাত ধরে কলকাতা পুলিশও এই বিষয়টি স্পষ্ট করে দিয়েছে। যা কার্যত মানুষের স্বার্থেই করা হচ্ছে। সত্যিই যদি কেউ বিদেশ থেকে ফিরেও কোয়ারেন্টিনে না যান তাহলে তিনি তাঁর আশপাশের মানুষের জন্যও ভয়ের কারণ হচ্ছে। এতে করোনা ভাইরাস দ্রুত ছড়ানোর সুযোগ পাবে। সে পথ বন্ধ করতে কেউ যদি সচেতন না হন তাহলে কলকাতা পুলিশ জোর করতে পারে একথা শোনার পর অনেকেই কলকাতা পুলিশকে সাধুবাদ জানিয়েছেন।
শুক্রবার মুখ্যমন্ত্রী নবান্নে এটাও পরিস্কার করে দেন যে কোয়ারেন্টিন কোনও জেলখানা নয়। নিজের বাড়ির মতই। শুধু নিজেকে আলাদা করে রাখা। কোয়ারেন্টিন সম্বন্ধে অনেকের ধারণা পরিস্কার নয়। অনেকে কোয়ারেন্টিনকে ভয়ও পাচ্ছেন। সকলের ধারণা এদিন মুখ্যমন্ত্রী পরিস্কার করে দেন। এদিকে পুলিশও এদিন জানিয়ে দিয়েছেন বিদেশ থেকে ফিরে হোম কোয়ারেন্টিনে না গেলে তাঁকে প্রয়োজনে মহামারি আইন বলে কোয়ারেন্টিনে নিয়ে যাওয়া হবে। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা