
উন্নয়ন আর দুর্নীতিমুক্ত প্রশাসন। এই দুই লক্ষ্যকে সামনে রেখে নিজের দ্বিতীয় ইনিংসকে এগিয়ে নিয়ে যেতে চান তিনি। এদিন উত্তরকন্যায় দার্জিলিং, জলপাইগুড়ি ও কোচবিহারের প্রশাসনিক বৈঠকে সে কথাই স্পষ্ট করে বুঝিয়ে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী। রাজ্যের সেচ ও পূর্ত দফতরের কাজ নিয়ে তিনি যে হতাশ এবং ক্ষুব্ধ তা পরিস্কার করে দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর মতে, এই দুই দফতরে দুর্নীতি চরমে উঠেছে। দুটি দফতরেই লুঠ চলছে। রাস্তা বা বাঁধ তৈরি করতে গিয়ে নিম্নমানের জিনিস ব্যবহার করা হচ্ছে। কোটি কোটি টাকা দিয়ে একটা বাঁধ দেওয়ার পরের বছরই তা ভেঙে যাচ্ছে। সরকার অনেক টেনে টুনে চালিয়ে এসব টাকার যোগান দিচ্ছে। আর তা লুটেপুটে নষ্ট হচ্ছে। নদী থেকে পাথর তুলে তা প্রতিবেশি দেশে চলে যাচ্ছে। কখনও বা সেই পাথর তাদেরই বিক্রি করা হচ্ছে। নদী থেকে পাথর তোলা অবিলম্বে বন্ধ করার নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। অনুমতি ছাড়া কোনও মতেই পাথর তোলা যাবে না। মুখ্যমন্ত্রীর অভিযোগ সেচ দফতর, পুলিশ কেউই এ ব্যাপারে নজর দিচ্ছে না। এদিন নিজের দফতরকেও ছেড়ে কথা বলেননি মুখ্যমন্ত্রী। পূর্ত ও সেচ দফতরে কী কী দুর্নীতি হয়েছে তা খতিয়ে দেখার জন্য দুটি বিশেষজ্ঞ কমিটি গড়ে দিয়েছেন তিনি। দুটি কমিটিতেই ২০ জন করে বিশেষজ্ঞ আছেন। তাঁদের কাজ হবে এতদিন যেসব কাজ হয়েছে তাতে কোনও দুর্নীতি হয়েছে কিনা তা খতিয়ে দেখা আর আগামী দিনে যে কাজ হতে যাচ্ছে তা ঠিকঠাক হচ্ছে কিনা সেদিকে নজর রাখা। টেকসই করতে আগামী দিনে কালো পাথর দিয়ে রাস্তা বাঁধানোরও নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।