বিদ্যুৎ ও জলের দাবিতে বিক্ষোভ, ধৈর্য ধরতে বললেন মুখ্যমন্ত্রী
অনেক জায়গায় আম্ফান চলে যাওয়ার ৩ দিন পরও বিদ্যুৎ নেই। জল নেই। মানুষের ক্ষোভ এবার রাস্তায় নেমে এসেছে। মুখ্যমন্ত্রী এদিন সকলকে ধৈর্য ধরার আহ্বান জানান।
কলকাতা : বুধবার মহাপ্রলয় আম্ফান বয়ে যাওয়ার পর কার্যত ধ্বংস শহর থেকে গ্রাম। অনেক জায়গায় শনিবারও বিদ্যুৎ ফেরেনি। পানীয় জল নেই। গাছ ভেঙে যেমন কে তেমন পড়ে আছে। ঝড়ের পর ৩ দিন পার করেও এমন পরিস্থিতিতে মানুষের ধৈর্যের বাঁধ ভেঙেছে।
গত শুক্রবার সন্ধেয় উত্তরপাড়া সহ শহরের অনেক জায়গায় মানুষ রাস্তায় নেমে বিক্ষোভে সামিল হন। পুলিশ লাঠিচার্জও করে। যদিও তাতে বিক্ষোভ থামেনি। শনিবারও বাইপাস সংলগ্ন সাঁপুইপাড়া থেকে শুরু করে বজবজ রোড, ডায়মন্ডহারবার রোড, বেহালা সহ নানা প্রান্তে বিক্ষোভে শামিল হন স্থানীয় বাসিন্দারা। বাড়ির মহিলারাও বেরিয়ে আসেন রাস্তায়।
বিক্ষোভের আঁচ যে রাজ্যসরকারের ওপরই এসে পড়ছে তা বুঝতে অসুবিধা হয়নি মুখ্যমন্ত্রীরও। এদিন তিনি সকলকে ধৈর্য ধরতে অনুরোধ করেন। তিনি জানান সিইএসসি এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ রাজ্য সরকারের হাতে নেই। বাম আমলে বেসরকারি সংস্থার হাতে দেওয়া হয়েছিল এই পরিষেবা প্রদানের ভার। তবে তিনি বিদ্যুতের এই বেহাল দশা নিয়ে সিইএসসি-র কর্ণধারের সঙ্গে কথা বলেছেন বলে জানান। সাধারণ মানুষকে তিনি বলেন একটু ধৈর্য ধরতে। এমন প্রাকৃতিক দুর্যোগ থেকে ঘুরে দাঁড়ানোর মত সময়টুকু তাঁদের দিতে।
এই কঠিন সময়ে মানুষের ক্ষোভে ইন্ধন দিয়ে ওস্কানো হচ্ছে বলেই এদিন ইঙ্গিত দেন মুখ্যমন্ত্রী। বিরোধীরাই মানুষকে ওস্কাচ্ছে বলে দাবি করেন তিনি। এই সময় বিরোধিতার নয় বলে বিরোধীদের মনে করিয়ে দেন তিনি। বিরোধীরা ক্ষুদ্র রাজনীতি করছে বলেও দাবি করেন মুখ্যমন্ত্রী। বিরোধীদের বরং এই সময়ে পাশে দাঁড়িয়ে সাহায্য করার অনুরোধ করেন তিনি।