বাস ভাড়া বাড়বে না, ক্ষতি সামলাতে কর মকুব, জানালেন মুখ্যমন্ত্রী
বাস ভাড়া করোনা পরিস্থিতিতে বাড়ানো হচ্ছেনা। বাস মালিকদের ক্ষতি সামলাতে কর মকুবের রাস্তায় হাঁটল রাজ্যসরকার।
কলকাতা : রাজ্যের আমজনতার ওপর বাস ভাড়া বাড়িয়ে এই করোনা পরিস্থিতিতে চাপ বাড়াতে রাজি ছিলেননা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেকথা তিনি আগেই জানিয়েছিলেন। পাশাপাশি বাস ও মিনিবাস মালিকদের ক্ষতির দিকটাও বিবেচনা করে তিনি ৩ মাসের জন্য প্রতি মাসে বাস প্রতি ১৫ হাজার টাকা করে ভর্তুকি ঘোষণা করেছিলেন। কিন্তু তাতে মন ভরেনি বাস মালিকদের। বিষয়টিতে তাঁরা খুশি তো হননি, বরং সুরাহা চেয়ে রাজ্যসরকারের দ্বারস্থ হন। বৃহস্পতিবার রাজ্য মন্ত্রিসভার বৈঠকের পর এ বিষয়ে তাই অন্য রাস্তায় হাঁটল রাজ্যসরকার।
মন্ত্রিসভার বৈঠকে স্থির হয়েছে বাস ও মিনিবাসের ক্ষেত্রে এপ্রিল থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত কর মকুব করে দেওয়া হচ্ছে। এছাড়া এ বছরের পারমিট করও নেওয়া হচ্ছেনা। আবার গত ৩১ মার্চ পর্যন্ত যেসব বাসের কর পড়ে আছে তা তারা মকুব করার সময় তাদের আর দেরি করার জন্য জরিমানা গুনতে হবে না। কেবল করটুকু দিলেই চলবে। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, বাস মালিকরা ১৫ হাজার করে ৩ মাস প্রতি মাসে টাকা নেওয়ার বদলে এই প্রস্তাব পেশ করেছিল। মন্ত্রিসভা তা মেনে নিয়েছে।
মুখ্যমন্ত্রী অবশ্য এদিন এটাও মনে করিয়ে দেন যে বাস মালিকদের কর মকুব করা দেখে যেন এবার অন্যরাও কর মকুবের দাবি নিয়ে রাজ্যসরকারের দ্বারস্থ না হন। কারণ করোনা পরিস্থিতিতে রাজ্যসরকারের খরচ বেড়েছে। কিন্তু আয় কমেছে। ফলে রাজ্যসরকারকে অনেক কষ্ট করে খরচ বহন করতে হচ্ছে।
বাস ও মিনিবাসে করোনা পরিস্থিতিতে এখন নিয়ম হল যে কটি সিট রয়েছে, কেবল সেই কটি সিটেই যাত্রী বসানো যাবে। কেউ দাঁড়িয়ে যেতে পারবেননা। ফলে খুব স্বাভাবিকভাবেই বাসে যাত্রী সংখ্যা কমেছে। বাসগুলি রাস্তায় অতিরিক্ত যাত্রী নিতে পারছেনা। যা তাদের লোকসানের মুখে ঠেলে দিচ্ছে বলে দাবি বাস মালিকদের। সেইসঙ্গে ডিজেলের দাম বৃদ্ধি একটা বড় সমস্যা হয়ে সামনে এসেছে। সব মিলিয়ে বাস মালিকরা সুরাহা চাইছিলেন। রাজ্যসরকার এদিন কর মকুবের মধ্যে দিয়ে সেই সুরাহার বন্দোবস্ত করে দিল।