রেড রোডে পতাকা উত্তোলন মুখ্যমন্ত্রীর, দেখা করলেন রাজ্যপালের সঙ্গে
স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে রেড রোডে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজ্যপাল জগদীপ ধনকরের সঙ্গেও দেখা করেন তিনি।
কলকাতা : শনিবার স্বাধীনতা দিবসের সকালটায় মেঘলাই ছিল আকাশ। মাঝেসাঝে ঝলক দিচ্ছিল রোদের রেখা। আবার তা নিমেষে হারিয়ে যাচ্ছিল। তারমধ্যেই এদিন প্রতি বছরের মত রেড রোডে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রেড রোডে এক কুচকাওয়াজ হয় এদিন। এদিনই রাজ্যে করোনা জয়ী ২৫ জনকে সম্বর্ধনা দেওয়া হয়। রাজ্যে করোনা জয়ীদের সম্বর্ধনা আগেও অবশ্য বিভিন্ন জায়গায় দেওয়া হয়েছে। এদিন দিলেন মুখ্যমন্ত্রী।
মাস্ক বিলির একটি প্রকল্পও শুরু করেন মুখ্যমন্ত্রী। কয়েক লক্ষ মাস্ক বিনামূল্যে বিতরণ করা হবে এই প্রকল্পে। এদিন রেড রোডে অনুষ্ঠান অবশ্য যাবতীয় করোনা বিধি মেনেই অনুষ্ঠিত হয়। সকলের মুখে ছিল মাস্ক। ছিল প্রয়োজনীয় দূরত্ব বিধির কঠোর পালন। প্রতি বছরের মতই অনুষ্ঠান আয়োজনে কোনও খামতি ছিলনা এবারও। তবে করোনার কারণে কোথায় যেন সেই খুশির অভাব ছিল। যা এদিন সব কিছুর মধ্যেও সারা রাজ্যেই চোখে পড়েছে।
রাজ্যপাল জগদীপ ধনকর বিকেলে যে চা চক্রের আয়োজন করেছেন তাতে তিনি থাকতে পারবেন না। তাই এদিন সকালেই রাজভবনে হাজির হন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মুখ্যমন্ত্রী জানান তিনি কার্যত কিছু না জানিয়েই হাজির হন রাজ্যপালের কাছে। সঙ্গে ছিলেন মুখ্যসচিব রাজীব সিনহা এবং স্বরাষ্ট্রসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়। মুখ্যমন্ত্রী নিজেই জানান তিনি বিকেলে থাকতে পারবেন না চা চক্রে। তাই এখন রাজ্যপালের সঙ্গে গল্প করে গেলেন।
শনিবার স্বাধীনতা দিবস গোটা রাজ্যেই পালিত হয়েছে। করোনা আবহে আনন্দে ঘাটতি থাকলেও আয়োজন হয়েছে। জাতীয় সঙ্গীতের সুরে অনেক জায়গাতেই পতাকা উত্তোলন হয়েছে। ছোট করে অনুষ্ঠান হয়েছে। বিভিন্ন জেলায় জেলাশাসকরা পতাকা উত্তোলন করেন। এছাড়া গলি থেকে রাজপথ সর্বত্রই নজরে পড়েছে স্বাধীনতা দিবসের উদযাপন। পতাকা উত্তোলন হয়েছে ক্লাব থেকে সংগঠন বা অনেক স্কুলে। অবশ্যই ছাত্রছাত্রীরা অংশ নেয়নি। অনেকে বাড়িতেই ছাদে বা বারান্দায় জাতীয় পতাকা লাগিয়ে পালন করেছেন স্বাধীনতা দিবস। করোনা আবহেও স্বাধীনতা দিবসের খুশি ভাগ করে নিয়েছেন পরিবারের মধ্যেই।