করোনার জন্য কাজ ফেলে রাখবেন না, নির্দেশ মুখ্যমন্ত্রীর
করোনা থাকবে। তারজন্য কাজ ফেলে রাখা যাবে না। উন্নয়নের কাজ চালিয়ে যেতে হবে। নির্দেশ দিলেন মুখ্যমন্ত্রী।
কলকাতা : মুখ্যমন্ত্রীর জেলা সফর ও জেলায় জেলায় প্রশাসনিক বৈঠকের যে ধারাবাহিকতা ছিল তা ছিন্ন হয় করোনা ছড়িয়ে পড়ার পর। মার্চ থেকে বন্ধ হয়ে যায় জেলায় জেলায় প্রশাসনিক বৈঠক। আনলক পর্বে আস্তে আস্তে কাজ শুরু হলেও মুখ্যমন্ত্রী এতদিন জেলা ভিত্তিক প্রশাসনিক বৈঠক করেননি। তবে তা এবার শুরু করে দিলেন তিনি। যদিও তিনি নিজে যেমন জেলায় গিয়ে বৈঠক করতেন তা করছেননা। নবান্ন থেকেই এই প্রশাসনিক বৈঠক করছেন। মঙ্গলবার নবান্ন থেকে পাঁচটি জেলার প্রশাসনিক প্রধানদের সঙ্গে বৈঠক করেন মুখ্যমন্ত্রী।
মুখ্যমন্ত্রী এদিন সাফ জানান করোনা থাকবে। তার মানে এই নয় যে উন্নয়নের কাজ বন্ধ হয়ে থাকবে। উন্নয়নের কাজ চালিয়ে যেতে হবে বলে জানিয়ে দেন তিনি। মুখ্যমন্ত্রী এদিন বন্যা থেকে সড়ক যোজনা, আম্ফানের ক্ষতিপূরণ থেকে কৃষক উন্নয়ন, প্রতিটি বিষয় তুলে ধরেন। ১০০ দিনের কাজের ক্ষেত্রে গতি এনে কৃষক কল্যাণে জোর দেওয়ার কথা বলেন তিনি।
পাশাপাশি তিনি প্রশাসনিক কর্তাদের সতর্ক করে বলেন আম্ফান ঘূর্ণিঝড়ের পর দীর্ঘদিন কেটে গেছে। তারপরেও ক্ষতিপূরণের টাকা পাননি অনেকে। যাঁরা এখনও ক্ষতিপূরণের টাকা পাননি তাঁদের ৭ দিনের মধ্যে টাকা মিটিয়ে দেওয়ার কথা বলেন মুখ্যমন্ত্রী।
মুখ্যমন্ত্রী এদিন বলেন, অনেক জায়গায় প্রবল বৃষ্টি হচ্ছে। ফলে কৃষি জমিতে জল জমছে। কৃষি জমিতে জল জমলে চাষের ক্ষতি হবে। তাই দ্রুত কৃষি জমি থেকে জল বার করে দেওয়ার ব্যবস্থা তৈরি রাখতে বলেন তিনি। এদিন তিনি পূর্ব বর্ধমানে করোনায় মৃত্যুর হার বৃদ্ধি নিয়েও অসন্তোষ প্রকাশ করেন। বিষয়টি আরও গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করতে নির্দেশ দেন।
সেইসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী প্রবল অসন্তোষ প্রকাশ করেন সড়ক যোজনা নিয়ে। পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, বীরভূম সহ বিভিন্ন জেলায় কেন প্রস্তাবিত সড়ক তৈরি হয়নি এখনও তার কৈফিয়ত চান মুখ্যমন্ত্রী। এদিন জল ধরো, জল ভরো প্রকল্পের বিষয়টিও আলোচনায় জায়গা পায়।
মুখ্যমন্ত্রী এদিন অবশ্য বাংলায় আবাস যোজনা নিয়ে সন্তোষ প্রকাশ করেন। সেইসঙ্গে তিনি জানান করোনার কারণে রাজ্যসরকারের আয় কমেছে। কিন্তু ব্যয় অব্যাহত। কেন্দ্র কোনও রাজ্যকেই তার প্রাপ্য টাকা দিচ্ছেনা। ফলে সমস্যা হচ্ছে। তার মধ্যেও রাজ্যে উন্নয়ন থেমে থাকলে চলবে না বলে জানিয়ে দেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।