Kolkata

কবে পর্যন্ত স্কুল-কলেজ বন্ধ, জানিয়ে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী

রাজ্যে কবে পর্যন্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকবে? এ প্রশ্ন অভিভাবক থেকে পড়ুয়া সকলের। মুখ্যমন্ত্রী তা স্পষ্ট করলেন।

কলকাতা : কেন্দ্র সেপ্টেম্বরে স্কুল, কলেজ খোলার চিন্তাভাবনা করছে। এমন ইঙ্গিত পেতেই অগাস্টে অভিভাবকরা হৈহৈ করে উঠেছিলেন। অনেকেই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের উদাহরণ টেনে এ দেশে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এখনই খোলার ঝুঁকি না নিতে অনুরোধ করেন। কারণ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে দেখা গেছে স্কুল খুলতেই হুহু করে পড়ুয়াদের মধ্যে করোনা ছড়িয়েছে। যা গোটা বিশ্বকে হতবাক যেমন করেছে তেমনই সতর্ক করে দিয়েছে। দ্রুত স্বাভাবিক অবস্থা ফেরানোর হুড়োহুড়িতে স্কুল কলেজ খোলার রাস্তায় হাঁটার ক্ষেত্রে সব দেশই এখন সাবধানী পদক্ষেপের পথে হাঁটছে। এই অবস্থায় রাজ্যেই বা কবে স্কুল খোলার কথা ভাবছে সরকার? সে প্রশ্ন অনেকের মনেই ছিল।

বুধবার নবান্নে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই বিষয়টি স্পষ্ট করে দেন। কারণ এটাও শোনা যাচ্ছিল যে সেপ্টেম্বরে হয়তো রাজ্যে স্কুল, কলেজ বিধিনিষেধ মেনে খুতে পারে। যা অধিকাংশ অভিভাবকই চাইছিলেন না। মুখ্যমন্ত্রী কিন্তু নিজেও এদিন স্পষ্ট করে দিলেন যে আপাতত ২০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত রাজ্যে স্কুল, কলেজ খুলছে না। তারপর পরিস্থিতি বিবেচনা করে পরবর্তী সিদ্ধান্ত স্থির হবে। তাতে এটা পরিস্কার হয়ে গেছে যে ২০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত এ রাজ্যে বন্ধই থাকছে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান।


সেপ্টেম্বরে স্কুল, কলেজ খোলার কেন্দ্রীয় সরকারি চিন্তাভাবনার বিরুদ্ধে আগেই অভিভাবকদের ফোরাম সোচ্চার হয়েছিল। এ রাজ্যে মুখ্যমন্ত্রী অভিভাবকদের মনের কথাই যেন শুনলেন। রাজ্যে গত মার্চে সেই যে স্কুল, কলেজ বন্ধ হয়েছে, তারপর থেকে তা বন্ধই রয়েছে। তবে বেসরকারি স্কুলগুলির মত রাজ্য সরকারও অনলাইন ক্লাসে জোর দেয়। শিক্ষক শিক্ষিকাদের বাড়ি থেকেই স্কুল করানোর কথা জানান মুখ্যমন্ত্রী। আবার কিছু স্কুলে স্কুলে এসেই ভার্চুয়াল ক্লাস করাচ্ছিলেন শিক্ষকরা। এমনকি প্রয়োজনে ছাত্রছাত্রীদের বাড়ি গিয়েও তাদের পড়া এগিয়ে আসার কথা শিক্ষক, শিক্ষিকাদের জানিয়েছিল রাজ্য সরকার।

রাজ্যসরকারি বা রাজ্যসরকারের সাহায্যপ্রাপ্ত অনেক স্কুলই অনলাইন ক্লাসের মধ্যে দিয়ে পঠনপাঠন জারি রেখেছে। সেইসঙ্গে মিড ডে মিল কিন্তু দৈনিক হিসাবে চালু না থাকলেও অন্য পথে চালু রয়েছে। প্রতি মাসেই রাজ্য সরকার নিয়ম করে ছাত্রছাত্রীদের অভিভাবকদের হাতে তুলে দিচ্ছে চাল, আলু, সয়াবিন, ডাল। এমনকি করোনা পরিস্থিতিতে পড়ুয়াদের জন্য সাবান বা স্যানিটাইজারও বিতরণ করা হয়েছে।


Show Full Article

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button