সুরাহা চেয়ে প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি দিলেন মমতা
কয়েক মাসের প্রাপ্য জিএসটি বাকি পড়ে আছে। সেই টাকা ফেরত চেয়ে এবার প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
কলকাতা : রাজ্য তাদের প্রাপ্য জিএসটি পাচ্ছেনা। জিএসটি-র মধ্যে রাজ্যের যে অংশ রয়েছে তা রাজ্যের প্রাপ্য অধিকার। কেন্দ্রের কাছে তাঁরা ভিক্ষা চাইছেন না। একথা আগেই বলেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তারপরও সুরাহা না হওয়ায় অবশেষে প্রধানমন্ত্রীর এ বিষয়ে হস্তক্ষেপ চেয়ে চিঠি দিলেন মুখ্যমন্ত্রী। কেন্দ্র ও রাজ্যের মধ্যে পারস্পরিক বিশ্বাস অক্ষুণ্ণ রাখতে তাঁদের প্রাপ্য জিএসটি তাঁদের যেন অবিলম্বে দিয়ে দেওয়া হয় তা দেখার জন্য প্রধানমন্ত্রীকে অনুরোধ করেছেন মমতা।
মুখ্যমন্ত্রী এদিন মনে করিয়ে দেন করোনা পরিস্থিতি শুরু হওয়ার পর কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী বলেছিলেন রাজ্যগুলিকে সাহায্যের বিষয়ে কেন্দ্রের দায়বদ্ধতা রয়েছে। এটা তাঁদের প্রতিশ্রুতি। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোয় রাজ্যগুলির প্রতি কেন্দ্রের কিছু নৈতিক দায়িত্ব রয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন, গত ৬ মাসে বহু মানুষ সমস্যায় পড়েছেন। কৃষকরা সমস্যায়, বেকার যুবক যুবতীরা সমস্যায়, চাকরি গেছে বহু মানুষের, পরিযায়ী শ্রমিকরা সমস্যায়, শ্রমিকরা সমস্যায়। তাঁরা বাঁচার লড়াই চালাচ্ছেন। আর এই পরিস্থিতিতে কেন্দ্রের কাছ থেকে রাজ্যসরকার প্রাপ্য জিএসটি-র অর্থ পাচ্ছেনা।
রাজ্যে উন্নয়নের কাজ থমকে যাচ্ছে। রাজ্যসরকারকে এই অবস্থায় মোটা টাকা ঋণ পর্যন্ত নিতে হচ্ছে। এমন এক পরিস্থিতিতে কেন্দ্রের তরফে রাজ্যগুলিকে সাহায্য বন্ধ করা কী সঠিক হচ্ছে? রাজ্যের ওপর আরও অর্থনৈতিক বোঝা চাপানো কী সঠিক হচ্ছে? এ প্রশ্নও তুলে দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। প্রধানমন্ত্রীকে অনুরোধ করেছেন যেন রাজ্যের পরিস্থিতি বিবেচনা করে বিষয়টি তিনি মিটিয়ে দেন।
এর আগেও মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছিলেন কেন্দ্রের হাতে দরকারে অর্থ প্রাপ্তির সুযোগ আছে। অথচ রাজ্যের থেকে জিএসটি বাবদ টাকা তুলে নিয়ে যাচ্ছে কেন্দ্র। নিয়মমতো সেই জিএসটির রাজ্যের অংশ রাজ্যকে ফেরত পাঠানোর কথা কেন্দ্রের। কিন্তু তা তারা করছেনা। রাজ্যের প্রাপ্য টাকা ফেরত দিচ্ছেনা কেন্দ্র। প্রধানমন্ত্রীর কাছে মুখ্যমন্ত্রী এদিন আবেদন করেন যে জিএসটি-র টাকা মেটানোর বন্দোবস্ত করে তিনি যেন যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোর ওপর অসহনীয় ধাক্কা আসা রুখে দেন। দিনের পর দিন জিএসটি-র প্রাপ্য টাকা ফেরত চেয়ে তিনি যে ক্ষুব্ধ তাও এদিন বুঝিয়ে দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।