দুর্গাপুজোর প্যান্ডেল নিয়ে পুজো কমিটিগুলিকে বিশেষ পরামর্শ দেবে রাজ্য
দুর্গাপুজো আর একমাস ৮ দিন বাকি। এরমধ্যেই পুজো কমিটিগুলিকে প্যান্ডেল তৈরি নিয়ে বিশেষ পরামর্শ দিলেন মুখ্যমন্ত্রী।
কলকাতা : করোনা আবহ থাকলেও দুর্গাপুজো যেমন হয় হবে। তবে তা বহরে হয়তো ছোট হবে। জাঁকজমকে ঘাটতি থাকবে। তুলনায় ছোট পুজো, জাঁকজমকে ঘাটতি এসব মেনে নিয়েই পুজো কিন্তু হচ্ছে এবার। আর তার তোড়জোড় পাড়ায় পাড়ায়, আবাসনে শুরু হয়েছে।
সোমবার মুখ্যমন্ত্রী জানান আগামী ২৫ সেপ্টেম্বর পুজো কমিটিগুলির সঙ্গে বসতে চলেছে রাজ্যসরকার। করোনা পরিস্থিতিতে সব স্বাস্থ্যবিধি মেনে পুজো নিয়ে প্রয়োজনীয় পরামর্শ সেই বৈঠকেই পুজো কমিটিগুলির কাছে পৌঁছে দেবে রাজ্যসরকার।
মুখ্যমন্ত্রী এদিন বৈঠকের আগেই একটা পরামর্শ পুজো কমিটিগুলির কাছে পৌঁছে দিয়েছেন। অবশ্যই সেই পরামর্শের নেপথ্যে রয়েছেন নোবেল জয়ী অর্থনীতিবিদ অভিজিৎ বিনায়ক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে গঠিত গ্লোবাল অ্যাডভাইজরি বোর্ড।
মুখ্যমন্ত্রী এদিন জানান, তাঁরা প্যান্ডেল নিয়ে কিছু পরামর্শ দিয়েছেন। যাতে বলা হয়েছে প্যান্ডেল এই করোনা পরিস্থিতিতে কেমনভাবে তৈরি করা উচিত।
মুখ্যমন্ত্রী জানান, তাঁদের পরামর্শ হল প্যান্ডেল যেন এবার চারিদিক থেকে খোলা হয়। যাতে প্যান্ডেলের মধ্যে যথেষ্ট হাওয়া বাতাস খেলতে পারে।
মুখ্যমন্ত্রী জানান, হাওয়া খেলতে পারে এমন প্যান্ডেল হতে হবে। যা নিয়ে পুজো কমিটিগুলির সঙ্গে বৈঠকে বিস্তারিত আলোচনা হবে। তবে প্যান্ডেল এবার ঢাকা না করে চারিদিক খোলা রাখার পরামর্শ এদিনই দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।
রাজ্যে বারোয়ারি, আবাসন সহ ১ লক্ষের ওপর পুজো হয়। এবার করোনা আবহে পরিস্থিতি একদম আলাদা। এই পরিস্থিতিতে এমন এক মিলনোৎসবে যাতে সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়তে না পারে সেদিকেও নজর রাখা জরুরি। তাই প্যান্ডেলে বিশেষ জোর যে রাজ্যসরকার দিতে চাইছে তা পরিস্কার হয়ে গেছে এদিন মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্যে।
এটাও বোঝা যাচ্ছে যে পুজো কমিটিগুলিকে এবার খোলামেলা প্যান্ডেলে জোর দিতে হবে। থিমের ধাক্কায় অনেক প্যান্ডেল চাপা হয়। চারিদিক থেকে ঢাকা হয়। এসব থেকে এবার দূরেই হয়তো থাকতে হবে পুজো উদ্যোক্তাদের। এবার করোনা আবহে দর্শনার্থীর ভিড় সেভাবে হবে না বলেই মনে করা হচ্ছে। এছাড়া স্বাস্থ্যবিধি মেনেই যে এবার দর্শনার্থীদের পুজো দেখতে হবে তাও পরিস্কার হয়ে গেছে।