পুজো কমিটিগুলিকে ৫০ হাজার টাকা করে অনুদান ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রীর
দুর্গাপুজো কমিটিগুলিকে টাকা দেবে রাজ্যসরকার। একথা জানিয়ে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী। ভালবাসার উপহার হিসাবেই এই টাকা দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।
কলকাতা : এই প্রথম নয়। এর আগেও পুজো কমিটিগুলিকে পুজোর জন্য আর্থিক অনুদান দিয়েছে রাজ্য। এবার পুজোয় ফের সেই অনুদানের কথা ঘোষণা করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
বৃহস্পতিবার নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে পুজো কমিটিগুলির সঙ্গে বৈঠক করেন মুখ্যমন্ত্রী। বৈঠকে ছিলেন পুলিশ ও প্রশাসনিক প্রধানরাও। এখানেই একগুচ্ছ নিয়মবিধি পালনের জন্য পুজো কমিটিগুলিকে বলেন মুখ্যমন্ত্রী।
এবার করোনা পরিস্থিতিতে পুজো কমিটিগুলিকে আর্থিক অনুদানের রাস্তাতেও হেঁটেছেন মুখ্যমন্ত্রী। পুজো কমিটিগুলিকে ৫০ হাজার টাকা করে অনুদানের কথা জানিয়েছেন তিনি।
এবছর অনেক পুজোই বহরে ছোট হয়েছে। থিমের ঘনঘটা বিশেষ নেই। দর্শক যে কত হবে তা নিয়েও চিন্তিত পুজোর উদ্যোক্তারা। সেইসঙ্গে যে চাঁদা ওঠে তা সকলে কতটা দিয়ে উঠতে পারবেন তা নিয়ে সবাই নিশ্চিত নন।
পুজো উদ্যোক্তাদের বড় ভরসা বিজ্ঞাপন ও দান। এবার সেখানেই ভাটার টান। ব্যবসা নেই। ফলে অনেক ছোট দোকান থেকে স্থানীয় ব্যবসায়ী থেকে বড় বড় কর্পোরেট সংস্থাও খরচের বহরে লাগাম পরিয়েছে।
অন্যান্য বছরের মত মোটা অঙ্কের বিজ্ঞাপনে যথেষ্ট টান পড়েছে। ফলে পুজো কমিটিগুলির বাজেটে যথেষ্ট কাটছাঁট হয়েছে এ বছর। সেখানে দাঁড়িয়ে সরকারের তরফ থেকে পুজো কমিটিগুলির হাতে ৫০ হাজার টাকা করে তুলে দেওয়ায় খুশি পুজো উদ্যোক্তারা। বিশেষত এই অর্থ মাঝারি ও ছোট পুজোর যথেষ্ট উপকারে লাগতে চলেছে।
মুখ্যমন্ত্রী এদিন অবশ্য এই ৫০ হাজার টাকা করে অনুদানকে ভালবাসার উপহার বলে ব্যাখ্যা করেছেন। জানিয়েছেন এবার পুজো কমিটিগুলির হাতে টাকা নেই।
এদিকে এবার দমকল বা পুরসভা, পঞ্চায়েতকে যে টাকা পুজো কমিটিগুলিকে দিতে হয় নানা অনুমতির জন্য সেটাও লাগছে না। বিদ্যুতের বিলেও মিলবে ছাড়। পুজো কমিটিগুলি বিদ্যুৎ খরচের বিলে ৫০ শতাংশ ছাড় পাবে।
ফলে এদিন মুখ্যমন্ত্রী পুজো কমিটিগুলিকে অনেকটাই স্বস্তি দিলেন। করোনা আবহে পুজো নিয়েই যেখানে কমিটিগুলির চিন্তার ভাঁজ পুরু হচ্ছে সেখানে এই আর্থিক সুবিধাগুলি তাদের পুজো করার লড়াই অনেকটা এগিয়ে দিল।