হাথরাস কাণ্ডে এবার পথে নেমে প্রতিবাদ করলেন মমতা
হাথরাস কাণ্ড নিয়ে ক্রমশ সুর চড়াচ্ছে বিরোধীরা। শনিবার এই ঘটনার বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়ে রাস্তায় নামলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
কলকাতা : হাথরাস কাণ্ডে এবার পথে নামলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। হাথরাসে নির্যাতিতার পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে সেখানে যাওয়ার চেষ্টা করে তৃণমূল সাংসদ ডেরেক ও’ব্রায়েন-এর নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধিদল। কিন্তু নির্যাতিতার বাড়ি থেকে দেড় কিলোমিটার দূরে তাঁদের পথ আটকায় পুলিশ।
ডেরেককে ধাক্কা মেরে ফেলেও দেওয়া হয়। যোগী রাজ্যের পুলিশের বিরুদ্ধে তৃণমূল সাংসদদের প্রতিনিধিদলকে নিগ্রহের অভিযোগও ওঠে। এর বিরুদ্ধেও এদিন রাস্তায় নেমে প্রতিবাদ জানালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
শনিবার বিকেল ৪টে নাগাদ বিড়লা প্ল্যানেটোরিয়াম থেকে পদযাত্রা শুরু করেন মুখ্যমন্ত্রী। বহু মানুষ পদযাত্রায় অংশ নেন। পদযাত্রা শেষ হয় গান্ধী মূর্তির পাদদেশে।
মিছিলে সাধারণ মানুষের সঙ্গে পা মেলান তৃণমূলের নেতা কর্মীরাও। গান্ধী মূর্তির পাদদেশে মিছিল শেষ করে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, তৃণমূল প্রতিনিধিরা আজ নয় কাল, একদিন না একদিন ঠিকই ওই নির্যাতিতার পরিবারের সঙ্গে দেখা করবেন।
মুখ্যমন্ত্রী এদিন বুঝিয়ে দিয়েছেন তিনি হাথরাসকে সামনে রেখেই বিজেপির বিরুদ্ধে এ রাজ্যে আন্দোলন গড়ে তুলতে চাইছেন। বিধানসভা নির্বাচনের আগে তিনি বিজেপিকে কোণঠাসা করতে হাথরাসকেই হাতিয়ার করছেন।
মুখ্যমন্ত্রী এদিন জানান, রাজ্যের বিভিন্ন তফশিলি জাতি অধ্যুষিত গ্রামে প্রচার চলবে। প্রতিটি ব্লকে ব্লকেও প্রতিবাদ কর্মসূচি পালিত হবে। মুখ্যমন্ত্রী এদিন বলেন, তাঁর মন হাথরাসের ওই নির্যাতিতার গ্রামে পড়ে আছে। যত দ্রুত পারা যায় সেখানে যেতে চাইছেন।
হাথরাস কাণ্ডের পাশাপাশি কেন্দ্রের বিজেপি সরকারের বিরুদ্ধে করোনা পরিস্থিতি নিয়েও সরব হন তিনি। বিভিন্ন রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা বেচে দেওয়ার চেষ্টা হচ্ছে বলে দাবি করেন মুখ্যমন্ত্রী। লকডাউনে চাকরি হারানো, পরিযায়ী শ্রমিকদের দুরবস্থা, কৃষি বিলের বিরুদ্ধেও সরব হন তিনি।
মুখ্যমন্ত্রী এদিন বলেন, বিজেপি করোনার মধ্যেই রাজনৈতিক কর্মসূচি চালিয়ে যাচ্ছে। কিন্তু তিনি এতদিন মিটিং মিছিল থেকে দূরেই থাকছিলেন। করোনার কারণেই দূরে থাকছিলেন তিনি।
দিল্লি হিংসার ঘটনাকে সামনে এনেও এদিন বিজেপিকে বেঁধেন মমতা। সব মিলিয়ে রাজ্যে ক্রমশ কিন্তু বিধানসভা ভোটের প্রস্তুতির জমি তৈরি হতে শুরু করে দিল।